মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশেদ: সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, জেঁকে বসেছে শীত। দিনের শেষে বিকেল থেকে বাড়তে থাকে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি । ভোর থেকে বেলা ১১ টা সময়ে দেখা মিলে না সূর্যের মুখ। রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। এমন কনকনে ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া তেঁতুলিয়ার মানুষ।
আরও পড়ুন: বিজিবির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
আজ (বুধবার) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মধ্যরাত থেকে দিন ১১ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারদিক। ফলে এসময় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। শীতের কারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের। হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর আধিক্য। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া সমস্যা নিয়ে রোগীরা হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে কর্মশালা
এই হাড়কাঁপানো শীতে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে। এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, বুধবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সান নিউজ/এসআই