রাকিব হাসনাত, পাবনা প্রতিনিধি: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার চাটমোহরে আনিসুর রহমান আনিস (৫০) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষেল লোকজন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি সাপের মতো খোলস বদলায়
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রভাকরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনিস ওই গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।
আনিস পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন চাটমোহর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং বিলে সাক্ষর
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সুত্রে জানান, প্রভাকরপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের সাথে আয়নাল হকের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ সেই জায়গা নিজের দাবি করে আনিসুর রহমান শুক্রবার সকালে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার সময় আয়নাল হক ও তার স্বজনরা বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আনিসুর রহমানকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হন। পরে তাকেসহ অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিসুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে সহায়তা অব্যাহত থাকবে
আহতদের মধ্যে একই এলাকার মৃত হামিদ সরকারের ছেলে জাকিরুল সরকার নামের একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে বদরুল ইসলাম, আসলাম হোসেন, নাহিদ হোসেন এবং মুনসুর রহমান নামের চারজনকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আটকরা হলেন, আয়নাল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও সরোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: মা হারালেন নরেন্দ্র মোদি
চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শণ করেছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষনিক তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর