কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ইট ভাটায় কাজ করতে গিয়ে সিরাজুল ইসলাম (৩২) নামের এক ভাটা শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য ভাটার লোকজন ও স্বজনরা চেষ্টা চালালেও গত ২৮ দিনেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের গুনীজন সম্মাননা প্রদান
সিরাজুল কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র।
পরিবার সূত্রে, গত কয়েক মাস যাবত সিরাজুল ইসলাম ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের মাখল এলাকার শান্তা খান ইট ভাটায় কাজ করেন। সেখানে বেশ কিছুদিন কাজ করার পর গত ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই ভাটা থেকেই নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তিনি আর ভাটায় ফিরে যাননি, নিজ বাড়িতেও ফিরে আসেন নি।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গফরগাঁও এলাকাসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্মরণাপন্ন হন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে তার ভাই মাহফুজুর রহমান গত ৩ ডিসেম্বর পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন : ভাইকে বাঁচাতে বোনের আকুতি
সিরাজুলের ভাই মাহফুজুর রহমান জানান, বেশ কয়েক মাস থেকে শান্তা খান ইট ভাটায় কাজ করতো সিরাজুল। হঠাৎ ২৭ নভেম্বর তার নিখোঁজের খবর পাই আমরা। সিরাজুলের নিখোঁজের খবরে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। পরিবারের সাথে তার সম্পর্ক ভালো ছিলো। তবে কি কারণে নিখোঁজ হলো তা আমরা বুঝতে পারছি না।
তিনি অভিযোগ করে জানান, ভাটার মালিকের পক্ষ থেকে তাকে খোঁজার কোন ভূমিকা দেখি নাই। আমি আমার ছোট ভাইকে ফিরে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ইট ভাটার স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান শ্রমিক নিখোঁজের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সিরাজুল আমার ভাটায় কাজ করতো। সে কথা বলতে পারে না মানসিকভাবে অসুস্থ। কোথায় কিভাবে নিখোঁজ হলো তা বুঝতে পারছি না। তবে তাকে খুঁজে বের করার জন্য আমরা মাইকিং করেছি।
আরও পড়ুন : মেঘনায় ডুবলো ৯০০ টন জ্বালানি তেল
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ শ্রমিক সিরাজুল ইসলামের খোঁজ পেলে তাকে ০১৩২৫ ৭০৩৮৮৬/০১৯২১ ২০৩৬০৬ এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বড় ভাই মাহফুজুর রহমান বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
সান নিউজ/এইচএন