সান নিউজ ডেস্ক: ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চল। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস সঙ্গে ঘন কুয়াশা। এতে করে দিনের বেলায়ও যানবাহনে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস বলছেন আবহাওয়া দপ্তর।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতা ৯৫ ভাগ। চলিত বছরে এটি জেলার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে। এছাড়া এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২০
দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউবা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি অপরদিকে শীতের কাপড় কেনার ধাক্কা।
শহরের রামনগর এলাকার ভ্যানচাল মকবুল হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহ যে শীত শুরু হয়েছে বেলা ১১টার পর মানুষ বাড়ি থেকে বের হয় সন্ধ্যা হলে বাসায় ফিরে। আগে দিনে চার থেকে পাঁচশ টাকা ইনকাম হত। শীত বেশি হওয়ায় এখন দিনে দুই থেকে তিনশ টাকা আয় হয়। বাজারের সবকিছুর দাম বেশি, খাব না শীতের গরম কাপড় কিনব।
আরও পড়ুন: তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র
অটোচালক শিমুল রায় বলেন, শীতের কারণে শহরে লোকজনের চলাচল অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে দিনে ৭/৮ শ টাকা আয় হতো এখন ৫শ টাকাই হয় না। জমার টাকা দেওয়ার পর বাজার করার টাকাই থাকে না।
এদিকে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। জেলায় চলতি ডিসেম্বর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে।
সান নিউজ/এমআর