নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ পবিত্র ঈদ-উল আযহায় বাসা-বাড়ির সামনে, অলি-গলিতে সর্বত্রই পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিলেও সেসব স্থানে কোরবানি দেওয়া হয়নি। কোরবানির পশুর বর্জ্য অনেকেই ড্রেনেও ফেলেছেন।
শনিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ড্রেনের কিনারায় রেখে পশু জবাই দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর নাড়িভুড়ির ময়লা ড্রেনে ফেলা হচ্ছে অনেক এলাকায়। তবে কেউ কেউ সিটি করপোরেশনের দেওয়া পলিব্যাগেও বর্জ্য রেখেছেন।
সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভারি বৃষ্টি শুরু হলে, সড়কের বিভিন্ন অংশে কোরবানি পশুর রক্ত বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে সয়লাব হয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে সকালে বৃষ্টি হওয়ায় সিটি করপোরেশনের কর্মীদের দেখা যায়নি নগরজুড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায়ই বাসার সামনের রাস্তায় পশু জাবাই দিয়েছেন নগরবাসী।
এ বছর নগরীতে পশু জবাই দেওয়ার জন্য ৩৩১টি নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫৬টি ও দক্ষিণ সিটিতে ৭৫টি স্থান রয়েছে। কিন্তু এসব স্থানে পশু জবাই দিতে যাননি অধিকাংশ নগরবাসী।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এ বছর ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমি কয়েকটি স্থান ঘুরে এসেছি। কিন্তু সেসব জায়গায় কেউ আসেননি। আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এই শহরটাকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই নির্ধারিত স্থানে গরু কোরবানি দেই। এটি আমার-আপনার সবার শহর।’
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় কোরবানিদাতাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। তবে দুপুরের পর তীব্র রোদে রাস্তা-ঘাটে পশুর রক্ত তেমন একটা দেখা যায়নি। কোরবানিদাতারা নিজেরাই রক্তাক্ত জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলেছেন।
দুপুর দুইটা থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে দুই সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সংস্থার সাঈদনগর কোরবানি পশুর হাট থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘কোরবানির পর পশুর যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, দুপুর ২টা থেকে আমরা সেই বর্জ্য সম্পূর্ণরূপে অপসারণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ গতবারের মতো এবারও ঢাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারবো। পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ ছুটিতে নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারিত হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্যক্রম শুরু করেছি।’
সান নিউজ/ এআর