নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ জাতির মঙ্গল কামনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনার মধ্য দিয়ে বরিশালে ঈদ জামাত শেষ হয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় ঈদ-উল-আযহার জামাত ঈদগাহের বদলে মসজিদে মসজিদে হয়। অধিকাংশ মসজিদে ৩/৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অনেক মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাত হলেও কয়েকটিতে তা মেনে চলা হয়নি।
শনিবার (১ আগস্ট) সকাল ৮টায় বরিশাল কালেক্টরেট মসজিদে ঈদ-উল-আযহার নামাজের প্রধান জামাতে অংশ নেন বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার আ. রাজ্জাক, জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, নেজারত ডিপুটি কালেক্টর শাহাদৎ হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সকাল ৯টার দ্বিতীয় জামাতে সর্বসাধারণ নামাজ আদায় করেন।
একই সময়ে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় পুলিশলাইন্স জামে মসজিদে। এতে অংশ নেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামসহ নগর ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যরা। এই মসজিদে আরও তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরিফ মাঠে সকাল ৯টায়। পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম জামাতে ইমামতিত্ব করেন। বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত হয় পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দরবার শরিফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়।
বিভাগের তৃতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত হয় সকাল ৮টায় ঝালকাঠীর এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠে।
পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (রা.) দরবার শরীফ মাঠে বিভাগের চতুর্থ বৃহত্তম ঈদ জামাত হয় সকাল ৭টায়।
উজিরপুরের গুঠিয়ার জামে বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত হয় সকাল ৮টায়।
এছাড়া বরিশাল নগরীর গোরস্থান রোড আঞ্জুমান-ই হেমায়েত-ই ইসলাম ময়দানে সকাল ৮টায়, চৌমাথা মার্কাজ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, কেন্দ্রীয় কারাগার জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সদর রোডের জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায় দুটি জামাত, হেমায়েত উদ্দিন রোডের জামে কশাই মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায় দুটি জামাত, চক বাজারের জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টায়, ৯টায় ও ১০টায় তিনটি জামাত এবং পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সকাল সাড়ে ৮টায়, সকাল ৯টায় ও সকাল সাড়ে ৯টায় মোট চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস এম অজিয়র রহমান জানিয়েছেন, ‘পবিত্র ইদ-উল-আযহা হচ্ছে সর্বোচ্চ ত্যাগের দিন। আজ শোকের মাসও শুরু। শোকের মাসে সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে করোনা রুখে দেওয়ার প্রার্থনা করি। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত দিনটিকে ভোগে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং কুরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে বাকি জীবন পরিচালনারও আহবান জানান তিনি।
সান নিউজ/ এআর