এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে ১ শত ২০ কোটি টাকা ও স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দিবে বলে সাড়ে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বাবুল মিয়া নামের এক প্রতারক।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় আসলেই উন্নয়ন হয়
বিষয়টি নিয়ে প্রতারণার শিকার কিতাব আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বুধবার রাতে প্রতারক বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কবীর ভুলসোমা গ্রামের সব্দর আলীর ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫) ওরফে ল্যাংড়া বাবুল ওরফে জ্বীনের বাদশা বাবুল নামে পরিচিত দীর্ঘদিন যাবত সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে জ্বীনের বাদশা এবং স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দিয়ে রাতারাতি বড়লোক বানিয়ে দেওয়ার প্রতারণা করে আসছে। এরই মাছে ময়মনসিংহ জেলার ধৌবাউড়া উপজেলার বাগড়া থানার মো. কিতাব আলীর ছেলে মো. শওকত আলী (৪০) এর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক হয়ে উঠে। সেই সম্পর্কের এক পর্যায়ে প্রতারক বাবুল নিজেকে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে শওকত আলীকে ১ শত ২০ কোটি টাকা ও একটি স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। সেই আশ্বাসে শওকত লোভে পরে যায়। শওকত এমন লোভে পরার সুযোগে প্রতারক বাবুল গত মঙ্গলবার শওকতের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: মদ পানে ৩১ জনের মৃত্যু
এদিকে শওকত মোটা অংকের টাকা ও স্বর্ণের পুতলের আশায় অপেক্ষা করতে করতে দুইদিন চলে যায়। এ অবস্থায় শওকত প্রতারক বাবুলের কাছে গেলে তার টাকা ও পুতুল চাইলে বাবুল সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। এদিকে বাবুল তার সাথে প্রতারণা করছে বিষয়টি বুঝতে পেরে বুধবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শওকত। সেই মামলার পর এস আই সাদী মোহাম্মদ অভিযান চালিয়ে প্রতারক বাবুলকে গ্রেফতার করে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রতারক বাবুলকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর