ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের কপিবাড়ি এলাকার কৃষকরা আগাম জাতের হাইব্রিড সুপার তাব্বি ফুলকপি চাষ করে মাত্র ৫০-৫৫ দিনে মধ্যে ভালো ফলন পাওয়ায় এবং লাভবান হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আরও পড়ুন : জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ কপি গাছের সবুজ রঙে ছেয়ে গেছে। আর এসব সবজির ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অন্যান্য বারের তুলনামূলক এবার দাম ভালো পাওয়ায় সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে। তাই অনেকে একটু অধিক লাভের আশায় চাষ করেছেন লাল তীর শীড কোম্পানির আগাম জাতের হাইব্রিড সুপার তাব্বি জাতের ফুল কপি।
এ জাতের কপির চারা রোপনের মাত্র ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে কপি বাজারজাত করতে পারছেন কৃষকরা। আর একেকটি কপির ওজন ১ থেকে দেড় কেজি হওয়ায় উৎপাদন খরচের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। স্বল্প দিনে কপির এমন ফলন ও দামে খুশি চাষীরা এবং এ জাতের কপির চাহিদাও বাজারে অনেক বলে জানান কৃষকরা।
সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের কপিবাড়ি এলাকার কৃষক লুৎফুল ইসলাম বলেন, এবার আগাম জাতের সুপার তাব্বি কপি ২৫ শতক জমিতে আবাদ করেছি। তাতে আমার মোট খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আর এই পর্যন্ত বিক্রয় করেছে ২৫ হাজার টাকা। এখনো ক্ষেতে যা কপি আছে তাতে আরো প্রায় ১২ হাজার টাকা বিক্রয় করতে পারবো। অন্যান্য আগাম জাতের কপির চেয়ে এজাতের কপি দ্রুত বাজারজাত করা যায় ও ফলনও অনেক বেশি হচ্ছে।
একই এলাকার কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি অনেক জাতের কপি করেছি। কিন্তু এবার মাত্র ৫৫ দিনে কপির এমন ফলন আর অন্যজাতের কপিতে পাইনি। এমন ফলন পাওয়ায় আমি খুব খুশি। আমাদের দেখে আশাপাশের অনেক চাষী এ জাতের কপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তাই আগামীতে এ জাতের কপির বীজ যেন পর্যাপ্ত সরবরাহ পাই সে বিষয়ে কৃষি বিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন : বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মৃত্যু
কপি চাষী মানিক চন্দ্র বর্মন ও সতেন্দ্র নার্থ বলেন, এই কপির ওজন ও সাইজে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অন্য কপির থেকে দেখতে ও মানেও অনেক ভালো এবং কপি বস্তায় বা কেরেটে বাজারজাত করতে কোন প্রকার দাগ হয় না।
সদর উপজেলার ঐশ্বী বীজ ভান্ডারের স্বত্তাধিকারি মো. এনামুল হক বলেন, এবার সুপার তাব্বি জাতের কপির বীজ বিক্রয় করে ভালো সাড়া পাচ্ছেন। এই মৌসুমে যা বীজ বিক্রয় হয়েছে তার থেকে আগামীতে প্রায় ১০ গুণ বেশি বিক্রয় হবে বলে আশা করছেন তারা।
কোম্পানি যে কমিটমেন্ট দিয়েছিল তার প্রমাণ কপি চাষ করে কৃষকরা পেয়েছে। কোম্পানি সবসময় কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভালো বীজ প্রদান ও মাট পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে মাঠ পরিদর্শনে এসে জানান বাংলাদেশ লাল তীর সীড লিমিটেডের রংপুর বিভাগীয় ম্যানেজার মহেদী হাসান খান।
আরও পড়ুন : ফারদিন আত্মহত্যা করেছে
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ জানান, জেলায় এবার সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টের জমি। আগাম জাতের সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় আগাম সবজি চাষে ঝুকছেন কৃষকরা।
সান নিউজ/এসআই