নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করা হবে শনিবার (১ আগস্ট)। এ লক্ষ্যে সরকারিভাবে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি ।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কোথাও এবার উন্মুক্ত স্থানে বা মাঠে কোনো ঈদের জামাত হবে না। খুলনায় ঈদের প্রধান ও প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে। জামাতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ। একই স্থানে দ্বিতীয় ও শেষ জামাত সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ে ঈদের জামাত সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন নতুন কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ইমামতি করবেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ঈদের এ জামাতে নামাজ আদায় করবেন। জামাত শেষে বৃহত্তর মুসলিম উম্মা, বাংলাদেশ ও খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ের সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হবে।
নগরীর কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বায়তুন নূর জামে মসজিদ নিউমার্কেট, ময়লা পোতা মসজিদ, নিরালা জামে মসজিদ, গ্রিন ভিউ বাবরি জমে মসজিদ, রূপসা বায়তুশ শরফ জামে মসজিদসহ খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন মসজিদে নিজেদের সময় অনুসারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলার সকল মসজিদে ঈদ-উল-আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অনেক মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত আদায় করা হবে।
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদের জামাতের কাতারে দাঁড়াতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, কোনো অসুস্থ ব্যক্তি, অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এক কাতার অন্তর এক কাতার করে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। মসজিদের অযুর স্থানে সাবান ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মুসুল্লিদের বাসা থেকে অযু করে মাস্ক পরে জায়নামায নিয়ে মসজিদে আসতে হবে। অযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো যাবে না। মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। মসজিদের টুপি এবং জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ঈদের জামাত শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হবে।
ঈদের দিন খুলনার সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ভবনে সকালে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের আগে নামানো হবে। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
খুলনায় এবার সিটি করপোরেশন কোথাও ঈদ মোবারক বাংলা ও আরবি খচিত ব্যানারের গেট ও ফেস্টুনে সজ্জিত করেনি। নগরীর মসজিদ, প্রধান প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতেও সাজ-সজ্জা করা হয়নি।
ঈদের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে বিভিন্ন স্থানে সাদা পোশাকধারী পুলিশ মোতায়ন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ঈদ-উল-আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিভিন্ন উপজেলাতেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি অনুসারে ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করা হবে।
সান নিউজ/ এআর