বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও : নিজের জমি বিক্রি করে হামলার শিকার হচ্ছি, আমার জমি আমি বিক্রি করবো তাতে স্থানীয় মাস্তানদের চাঁদা দিতে হবে কেন? জমি আমার অথচ খেলার মাঠ দাবি করে নানা রকম ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি দুস্কৃতিকারী দল। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। মানবন্ধনে এই কথাগুলো বলেন জমির মালিকানা দাবি করা নুরুল হুদা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে রোমানিয়া
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় শহরের চৌরাস্তায় ভুক্তভোগী জমির মালিকগণের ব্যানারে ঘন্টাব্যপী মানববন্ধন চলে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেয় তারা।
মানববন্ধনে দাড়িয়ে জমির মালিকপক্ষের ওয়ারিশ জুলফিকার আলী ভট্টু বলেন, আমি অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। খাদ্যনালীতে ঘাঁ ও দুটি ভাল্প নষ্ট হওয়ায় ভারতে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। চিকিৎসার টাকা জোগার করতে বায়নামা সূত্রে জমি বিক্রি করেছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্র সেটিকে খেলার মাঠ দাবি করে আসছে। দখল নিতে দিচ্ছেনা। জমিটি যে ব্যক্তি মালিকানা এতে কোন ভুল নেই। আমি কোন খেলার মাঠ বিক্রি করিনি। আমি আজ আমার পরিবার নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি এর সুষ্ঠু সমাধানের দাবিতে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
জমির মালিকানা দাবি করা আরেক ওয়ারিশ নুরুল হুদা বলেন, গড়েয়াতে যে জমিটি খেলার মাঠ দাবি করা হচ্ছে সেটি আসলে আমাদের মালিকানা সম্পত্তি। সরকারের কোন নথিতে সেটি খেলার মাঠ উল্লেখ করা নাই। সেখানে আমাদের রোপন করা গাছ বড় হচ্ছে ৷ কিন্তু স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পাওয়ায় আমাদের সমস্যা করছে। আমরা জমি বিক্রি করেছি। দখলে গেলে আমাদের সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করছে। আমার জমি আমি বিক্রি করতে পারব না এটা তো হতে পারে না। যদি সেটা খেলার মাঠই হবে তাহলে সরকার হস্তক্ষেপ করুক। সরকার প্রমাণ করুক যে সেটি খেলার মাঠ। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে মানববন্ধন করছি।
বায়নামা সূত্রে জমি ক্রেতা সজল চৌধুরী বলেন, গড়েয়াতে ১১ টি খেলার মাঠ আছে। কিন্তু আমি যে জমি কিনেছি সেটা কোন খেলার মাঠ নয়, ব্যক্তিমালিকানা জমি। আমি জমি ক্রয়ের পর সেখানে সাইনবোর্ড টাঙ্গাতে গেলে আমার কাছে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় । আমি টাকা না দেয়ায় আমার উপর হামলা চালানো হয়, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা মামলাও করেছি। চাঁদাবাজদের একটি পক্ষ জমিটিকে খেলার মাঠ দাবি করছে। কিন্তু কাগজে কলমে কোথাও সেটি খেলার মাঠ উল্লেখ নেই। এ নিয়ে অনেকবার স্থানীয়ভাবে বসাও হয়েছে। তাদের চাঁদা না দেওয়ায় তারা বারবার আমাদের সমস্যা করছে। আমরা এর বিচার চাই।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে হামলায় নিহত ২৭২
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, এই জমির বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। তাই এর কোন সমাধান করা যায়নি। আদালতে মামলার রায় হলে রায় অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই জমিটি আমরা সরকারি এসএ ও সিএস খতিয়ানের কোথাও খেলার মাঠ উল্লেখ পাইনি।
সান নিউজ /এমআর