এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি : স্ত্রী শেফালী দাস ওরফে আমেনা আক্তার ও তার সহযোগীদের হাত থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আমেনার স্বামী অপুর্ব কুমার পাল ওরফে আবদুল্লাহ আল মঈন। এরা দুজনেই নও মুসলিম। স্বামী অপূর্ব কুমার পাল রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের স্বপন কুমার পালের ছেলে। স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত এবং স্ত্রীর সহযোগিরা তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে এমন অভিযোগে মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মঈন।
আরও পড়ুন: ভূতের রূপ নিয়েই আসে
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঈন বলেন, বিগত ২০১৫ সালে একই গ্রামের সুধির দাসের কন্যা শেফালী দাসকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করি। আমাদের সংসারে ৬ ও ৩ বছরের দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরমধ্যে কয়েক বছর পূর্বে আমরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্টি হয়ে দুজনেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে আমার নাম আবদুল্লাহ আল মইন ও শেফালির নাম আমেনা আক্তার রাখি। বছর খানেক ধরে আমার স্ত্রী জনৈক রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদারের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমার আপত্তিসত্বেও শুক্তাগড় গ্রামের কবিরখান, আরিফ মাতুব্বর সহ কতিপয় পরিবারের সাথে ঘনিষ্টতা গড়ে তোলে। আমার স্ত্রীকে এ পথ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে অনেক বুঝানোর চেষ্টা চালালেও সে আমার সাথে সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করে।
৩১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে আমেনা তার প্রেমিক ও সহযোগীদের নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ঘরের আলমারীতে রাখা নগদ টাকা, স্বর্নালংকার ও ৩ বছর বয়সের শিশু পুত্রকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি গত ৭নভেম্বর ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। এরই ধানাবাহিকতায় আমার স্ত্রী ও তার সহযোগীরা গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কাল্পনিক হামলা-মারধরের নাটক সাজিয়ে আমেনাকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: সর্বত্র পাহারা দেওয়ার নির্দেশ
আমি আমার স্ত্রী ও তার সহযোগি আরিফ মাতুব্বর ও রিয়াজ উদ্দিনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সান নিউজ /এমআর