নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ: মধুমতি নদী ও মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের পানি বাড়ায় গোপালগঞ্জের তিনটি উপজেলার সহস্রাধিক পরিবার এখন পানিবন্দি। এসব এলাকার মানুষের যাতায়াত ও বসবাসে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার আশঙ্কা করছেন তারা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি, কাশিয়ানীর দুইটি ও মুকসুদপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তা-ঘাটও তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পরিবার উলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ও নিজড়া ইউনিয়নের প্রায় ২০টি পরিবার এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং কাশিয়ানীর সিংগা ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি পরিবার সিংগা হাইস্কুল ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার উলপুর, নিজড়া ও হরিদাশপুর ইউনিয়ন, কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা ও হাতিয়াড়া এবং মুকসুদপুরের একটি ইউনিয়নের প্রায় দশটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে এলাকার স্কুলসহ উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সদর উপজেলার পানিবন্দি দুর্গত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান খান ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনোয়ার হোসেন চাল, ডাল, চিড়া, সুজি, তেল ও চিনি বিতরণ করেন। কাশিয়ানীর সিংগা ও হাতিয়ারা ইউনিয়নের দুর্গতদের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিত বৈদ্য জানিয়েছেন, জেলার নিম্মঞ্চল প্লাবিত হলেও গোপালগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর পানি বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ও মধুমতি বিলরুট চ্যানেলের পানি ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে পানিবন্দি দুর্গতদের সাহায্যে ১৫০ মেট্রিকটন চাল ও শুকনা খাবারের জন্য আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ ও বিলি শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যার্ত বা পানিবন্দিদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/ এআর