যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শামিম কবির ওরফে কিলার শামিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। তার বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টুসহ ৪টি হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ ডজন খানেক মামলা এবং আরো অর্ধডজন জিডি রয়েছে।
২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালতে সে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
একাধিক সূত্র মতে জানা যায়, শামিম তার নিজের নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। আর এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করে। এসকল অপরাধ সংগঠিত করে এতাদিন সে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে ছিল।
জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত শামসুল হক মাস্টারের ছেলে শামিম কবির ওরফে কিলার শামিম বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে অল্প বয়সেই। ১৯৯৮ সালে চৌগাছার মকবুল হোসেনকে হত্যা করে সে। এরপর ১৯৯৯ সালে শাহিদুল ইসলামকে হত্যা করেন শামিম। এরপর একের পর এক চাঁদাবাজি ও মারামারির ঘটনাও ঘটিয়ে আসছিলেন। ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট দুপুরে চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর তমালতলা থেকে দুইটি শ্যুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি এবং রাইফেলের ৩ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করে র্যাব। এঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ২০১৭ সালে যশোরের স্পেশাল জেলা জজ (জেলা জজ) নিতাই চন্দ্র সাহা দোষী সাব্যস্ত করে শামিমকে ১০ বছর এবং অন্য ধারায় আরও ৭ বছরসহ মোট ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। রায়ের সময় তিনি পালাতক ছিলেন।
এরপর ২০১৩ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান মিন্টুকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে গুলি করে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে। একই বছরে সৌরভ নামে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা করে শামিম। এরপর ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে চৌগাছা থানায় ৮টি সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সান নিউজ/নাহু/সালি