আব্দুর রাজ্জাক সরদার ,কেশবপুর : কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলামসহ তার ছেলেদেরকে একদল সন্ত্রাসী মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এমনকি তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভূঞাপুরে সভাপতি আব্দুল লতিফ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ
এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে, গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিদিনকার ন্যায় অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষে উপজেলা পরিষদের কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসার সময় কেশবপুর শহরের আলমগীর সিদ্দিকী টিটু ও ১১ টি মামলার আসামি জামাল তার বাহিনী নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সামনের চত্বরে কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে।
আরও পড়ুন : ভোলায় আদর্শ প্রানিসেবার সভা অনুষ্ঠিত
এ সময় টিটু উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে কৈফিয়ত চায় এই বলে যে বিভিন্ন জনসভায় তাকে নিয়ে কেন অপমানজনক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে।
তখন উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন প্রমান ছাড়া আমি কোন কিছু বলি না। তোমার মা নাশকতা মামলার আসামি এবং সেই কেস বর্তমানে কোর্টে চলমান।
এ কথা বলার পরে টিটু সহ অন্যান্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের মা- বাবাদেরকে নিয়ে কু-রুচিপূর্ণ গালিগালাজ করে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ছেলেদেরকে মৃত্যুর হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন : শতাধিক বিএনপি-জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে মামলা
সেই সময়ে চিৎকার চেচামেচি শুনে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম. এম. আরাফাত হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন টিটুর মা জামায়াতের মহিলা রোকন। আর টিটু নিয়োগ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যাতে করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে আলমগীর সিদ্দিকী টিটুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে নারাজ হন।
আরও পড়ুন : যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান বলেন কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর লিখিত অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এইচএন