মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ শহরের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ সংলগ্ন স্হানে বোমা বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর এবং সড়কে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি ৭১ জন নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কেন ১০ ডিসেম্বর
সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই জিয়াউর রহমান মামলাটি করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত রাখা হয় আরও ৪০/৫০ জনকে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গেলো রোববার রাতে ২০-২৫ জনের একটি দল সরকারি হরগঙ্গা কলেজের পিছনে মুন্সিরহাট সড়কে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তি স্লোগান দেওয়া হয়।
সেই সময়ই কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ ঘটে। তবে সেই মিছিলে বিএনপি নাকি অন্য কোন দলের মানুষ ছিল সেটি স্পস্ট নয়। তবে ঘটনার পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন।
মুন্সীগঞ্জ শহর বিএনপির আহবায়ক একেএম ইরাদত হোসেন মানু বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জেও এ ঘটনা শুরু হয়েছে। সরকারি দল এবং প্রশাসন একত্রিত হয়ে নাটক সাজিয়েছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশে খালেদা জিয়া যোগ দিলে ব্যবস্থা
আরও বলেন, সরকারি দলের লোকজন সড়কে রোববার রাতে মিছিল বের করে। সেখানে তারা বিস্ফোরণ ঘটায়। গাড়ি ভাঙচুর করে। আমাদের নেতাকর্মীদের জনসভা থেকে দূরে রাখতে, আতঙ্ক তৈরি করতে ভুয়া মামলা দিয়েছে। এ ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমরা এর নিন্দা জানাই।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনার রাতে হরগঙ্গা কলেজ মাঠে আমরা ব্যাডমিন্টন খেলছিলাম। জেলার বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবি এবং ১০ তারিখের সমাবেশকে জানান দিতে ছাত্রদল,যুবদল ও বিএনপি'র লোকজন কলেজের পেছনে মুন্সিরহাট সড়কে হামলা চালায়। ককটেল বিষ্ফোরণ করে। সড়কে থাকা অটোরিকসা ভাঙচুর কর তারা পালিয়ে যায়।পরে আমরা প্রতিবাদ মিছিল করি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৩
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.তারিকুজ্জামান বলেন, বেআইনিভাবে লোকজন জড়ো হয়ে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সান নিউজ/এসআই