নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের মানুষ। এর আগে তৃতীয় দফা বন্যার পানি সরে যাওয়ায় নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়া লোকজন আবারো বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেন।
কিন্তু বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আবারো প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাওলা ইউনিয়নের কিশামত ছাওলা, গাবুড়া, জুয়ান, রামশিং, শিবদেব , হাগুরিয়া হাশিম ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমত চর গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলো।
রামসিং গ্রামের কফিল উদ্দিন বলেন, তৃতীয় দফার বন্যার পানি সরে যাওয়ায় লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেন। নতুন করে তিস্তার পানি বেড়ে বন্যা দেখা দেওয়ায় আবারো তারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
গাবুড়া গ্রামের রমিছা বেগম বলেন, ‘সকাল থেকে হঠাৎ করেই পানি বাড়ায় আবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। চারদিন আগেই বাড়িতে ফিরেছি। আবারও বন্যার কবলে পড়লাম।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, বুধবার সকাল থেকে তিস্তায় আকস্মিক পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে আবারো নদী তীরবর্তী এলাকা তলিয়ে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালের মধ্যে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর