নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর: ‘যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। সাহসের সঙ্গে তিনি সমাজের অন্যায়-অত্যাচার আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের মাধ্যমে সমাজের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সংবাদ প্রচারে উৎসাহিত করতেন। সাহসী এ শিল্পোদ্যোক্তা ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে বীরের মতো যুদ্ধ করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সততার সঙ্গে সংগ্রাম করে গেছেন। এ কারণে তিনি মানুষের ভালোবাসা জয় করে নিয়েছেন।’
বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে যুগান্তর রংপুর ব্যুরো অফিস ও স্বজন সমাবেশের আয়োজনে রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে নুরুল ইসলামের শোক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
যুগান্তর রংপুর ব্যুরো প্রধান মাহবুব রহমানের সভাপতিত্বে শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম। বক্তব্য দেন রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, রংপুর প্রেসক্লাব কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব রফিক সরকার, দৈনিক খোলা কাগজের রংপুর অফিস প্রধান সুশান্ত ভৌমিক, দৈানক মানবজমিনের রংপুর ব্যুরো প্রধান জাবেদ ইকবাল, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন, স্বজন সমাবেশ জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক হারুন উর রশিদ সোহেল। অনুষ্ঠানে অংশ নেন সময়ের আলোর রংপুর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আফজাল, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আদর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ইমরোজ হোসেন ইমু ও দপ্তর সম্পাদক মেজবাহুল হিমেল, দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক উদয় চন্দ্র বর্মন, আমাদেন প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবির বিপ্লব, ফটো সাংবাদিক রনজিৎ দাস, দৈনিক সাইফের মহানগর প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, দৈনিক দাবানলের প্রতিনিধি সুমন ইসলাম, দৈনিক পরিবেশের প্রতিনিধি রাব্বী, সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন সাহসী শিল্প উদ্যোক্তা। দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি হয়েও তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। নিরহঙ্কারী এ মানুষটির মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিক শিল্প উদ্যোক্তাকে হারিয়েছে।
শোকসভায় নুরুল ইসলামের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
সান নিউজ/এআর