সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ভালুকায় শ্বশুরবাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী কর্তৃক প্রথম স্বামীকে খুন করে ভারতে আত্মগোপনের প্রস্তুতিকালে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে টিম নেই, এটা কষ্ট দেয়
ভালুকা উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে দ্বিতীয় স্বামীর হাতে প্রথম স্বামী খুন ও স্ত্রী আকলিমা খাতুনকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মর্মে খবর পাওয়া যায়। ঘটনাটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ফলশ্রুতিতে র্যাব-১৪ ছায়াতদন্ত এবং গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে হাফেজ ছানিম সারোয়ার বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হুংকারে কাজ হবে না
র্যাব জানায় প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে, ঘটনার দুই দিন পূর্বে ফখরুল তার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান তিনিসহ তাঁর স্ত্রী আকলিমা আক্তার ও আট বছরের মেয়ে তমা। স্ত্রী-সন্তান টয়লেটের কাজ সেরে আগে ঘরে চলে যান। পরে ফখরুল টয়লেট সেরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে তার ঘাড়ে অনবরত কোপায় আকলিমার সাবেক স্বামী রাজিব ওরফে রানা। ফখরুলকে বাঁচাতে গেলে আকলিমাকেও এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফখরুল মারা যান। আকলিমার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে আইসিইউতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১টি দা, টর্চ লাইট ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।
গতকাল র্যাব ১৪ ব্যাটালিয়নের একটি আভিযানিক দল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থকে ঘাতক রাজিব ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতে আত্নগোপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য সে মুক্তাগাছা অবস্থান করছিল, দুই দিন আগে সে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে ভারতে আত্মগোপনের চেষ্টার উদ্দেশ্যে রাজিব রাজশাহীর তানোরে যায়, কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ভারতে পলায়নের পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়ে ময়মনসিংহে এসে পালিয়ে ছিল ।
সান নিউজ/এমআর