কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): আদালতের নির্দেশনা অবমাননা করে রাতের আঁধারে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বাড়ল বিদ্যুতের দাম
জানা গেছে, বোয়ালমারী পৌর বাজারের কামারগ্রাম মৌজার হাল ৬৮৫৮ দাগের ১০ শতাংশ জমি ১৯৯৩ সাল থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক মো. নুরুজ্জামান মিয়া। যা প্রায় ৩০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। ভুলক্রমে হাল রেকর্ডে জমিটি খাস খতিয়ানভূক্ত হয়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের স্থাপনা নির্মাণের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা শর্তেও তা অমান্য করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে মার্কেট নির্মাণ করার অভিযোগ করেছেন বোয়ালমারী পৌরসভার মো. নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে এ এফ এম বদরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৪৪
সোমবার সকালে বোয়ালমারী পৌরসভার চৌরাস্তায় অবস্থিত একটি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বদরুজ্জামান জানান, বর্তমান মাঠ জরিপে ভুলক্রমে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিটি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত হয়। এ বিষয়ে নুরুজ্জামান মিয়া ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে বিবাদী করে মামলা করলে ২০২০ সালে আদালত নুরুজ্জামানের পক্ষে রায় দেন। রায় পরবর্তী সরকারের পক্ষে আপীল করেন বোয়ালমারী সহকারী কমিশনার (ভূমি)। মামলাটি এখনও চলমান। গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে জমিটিতে দোকানঘর তুলে অন্যত্র বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য স্থাপনা নির্মাণ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেইন।
আদালত থেকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনেন বাদী। বিষয়টি বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ নভেম্বর এসএসসির ফল
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেইন জানান, খাস খতিয়ানের জমিতে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোন কাগজপত্র আমরা পাইনি।
সান নিউজ/এমআর