রাজশাহী প্রতিনিধি
বাঙালির কাছে পিঠাপুলি তৈরির অন্যতম উপকরণ খজুর গুড়। কিন্তু এখন আর সে গুড় নিরাপদ নেই। গুড়ে মেশানো হচ্ছে নোংরা চিনি। এসব চিনি মেশানো ভেজাল গুড় এখন রাজশাহীসহ আশপাশের জেলাগুলোর সর্বত্র সয়লাব।
জেলার বাঘা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট, বাকঁড়া, মীরগঞ্জ, কাকড়ামাঁরী, পরানপুর, চারঘাট বাজার দিড়িপাড়া উপজেলায় উৎপাদিত হচ্ছে এসব ভেজাল গুড়।
মৌসুমের শুরুতেই জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে খেজুর গুড়। এক শ্রেণির অর্থলোভী ব্যবসায়ী খেজুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারজাত শুরু করেছে। তবে শীতের শুরুতেই নবান্নের আমেজ এখন শহর থেকে প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে চলছে নতুন ধানের পিঠা-পুলির উৎসব। এতে পেটের পীড়াজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ওই ভেজাল গুড় দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ালে লিভার ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ মারাত্মক জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এরইমধ্যে রাজশাহীর বাঘায় ভেজাল খেজুর গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চিনি গলিয়ে খেজুর গুড় তৈরির সময় কারখানা মালিক মোস্তফা হোসেনকে আটক করা হয়। পরে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুড় ধ্বংস করে ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করেন।
জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেজাল গুড় তৈরি না করার জন্য মাইকিং করা হয়। তারপরও কিছু ব্যক্তি অধিক মুনাফার লোভে নামমাত্র খেজুর রসের সঙ্গে চিনি, আটা, হাইড্রোস, ফিটকারি, সোডা, চুন, নারিকেলের তেল, রং মিশ্রণ করে গুড় তৈরি করে যাচ্ছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা ও আড়াই মণ গুড় এবং গুড় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।
সান নিউজ/সালি