জেলা প্রতিনিধি, পাবনা : বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) পাবনা জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ হলেও কয়েকজন প্রার্থী ভোট বর্জন করায় আলোচিত এই নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন : শ্রদ্ধা ভালবাসায় অনিতা চৌধুরীকে শেষ বিদায়
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। রাত ৮টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
৩১টি পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৩ জন প্রার্থী। বাজুস পাবনা জেলা শাখার মোট ভোটার রয়েছেন ২১১ জন, আর ভোট পড়েছে ২০৩টি। বাতিল হয়েছে ১২টি ব্যালট পেপার। এই নির্বাচনে বিজয়ী ৩১ পরিচালক পরবর্তীতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির পদধারী সদস্যের নির্বাচিত করবেন।
২০১৩ সালের নির্বাচনের পরে ২০১৫ সালে কমিটির মেয়াদকাল শেষে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ সাত বছর পরে বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে পাবনা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
আরও পড়ুন : ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৭তম বার্ষিকী
তবে এই নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে নির্বাচন বর্জন করেছেন।
নির্বাচন বর্জন করা পরিচালক পদে প্রার্থীরা হলেন- সৌহাদ্য বসাক সুমন, শরিফুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, আনোয়ার হোসেন ও বিপ্লব সরকার পলান।
বর্জনকৃত প্রার্থী ও বাজুস পাবনা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৌহার্দ্য বসাক সুমন বলেন, নির্বাচনে নানা অনিয়মের কারণে আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি।
আরও পড়ুন : বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন
কারণ- কিছু প্রার্থীকে পরবর্তী সভাপতি পদে নির্বাচন না করতে হুমকি দেয়া হয়েছে। প্যানেলেরও নিয়ম নেই। নির্বাচনের রঙ্গিন পোস্টারের নিয়ম নেই।
এছাড়াও একজন ভোটারকে ৩১ জন প্রার্থীকেই ভোট দিতে বাধ্য থাকবে, নাহলে ভোট বাতিল হবে- যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. আবু নাসেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিন সদস্যের বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সত্য নারায়ণ শেঠের দাবি বিধিমালা মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : শপথ নিলেন মনিরুজ্জামান ফুল মিয়া
তিনি বলেন, ভোটের চার দিন আগে তারা নির্বাচন বর্জন করেছেন। নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন ও ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজও হয়েছিল ফলে নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে আমাদের কিছু করণীয় ছিল না।
এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনী বিধিমেলার আলোকেই সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন