বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: শীতের আগমনে ঠাকুরগাঁওয়ে নানা রকম শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে। স্থানীয় চাহিদামিটিয়ে রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে । এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন : ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দ নগর কাঁচা বাজারের আড়ত সহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে,ইতোমধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, লাউ, করল্লা, পেঁপে, বরবটি, সীম ইত্যাদি উঠতে শুরু করেছে।
বর্তমানে প্রতিটি সবজির দাম খানিকটা বেশি। তাই লাভের আশা করছেন কৃষকরা।মাঠে ভালো মানের ফুলকপি ৩৫ টাকা, করল্লা ৪০, বেগুন ২২-২৫, লাউ প্রতি পিচ ২৪, মুলা ৭-৮ টাকা কেজি দরে কিনছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।তবে মূলা চাষ করে উৎপাদন খরচ তুলতে না পারায় হতাশ মূলা চাষীরা।
মো. হানিফ নামে একজন কৃষক বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে বেগুন আবাদ করেছি। এতে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করছি। আশা করছি মৌসুম শেষে দেড় বিঘার বেগুনে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হবে।
নারগুন কহরপাড়া গ্রামের সবজি চাষী আব্দুল মালেক বলেন, আমি ৭ কাঠা জমিতে পালং শাক চাষ করেছি । খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। ৩ কাঠা জমির শাক কেটে বিক্রি করেছি সাড়ে ৬ হাজার টাকা। বাকি শাক বিক্রি করে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো। আর যদি এর থেকে দাম বেশি হয় তাহলে আশা করছি ২০-২৫ হাজার টাকা বিক্রি হবে।
আল-আমীন নামে একজন মুলাচাষী বলেন, লাভের আশায় মূলার চাষ করে উৎপাদন খরচ উঠছে না।ক্ষেত থেকে মূলা তুলতে যে খরচ হচ্ছে তাও উঠছে না। এখনো আমার ৫ একর জমির মূলা বিক্রি করতে পারিনি।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারকে আসিয়ানের হুমকি
মনিরুজ্জামন মনির নামে একজন চাষি বলেন, এবার আমাদের এই দিকে প্রচুর সবজির আবাদ হয়েছে ।ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু সে হিসেবে সঠিক দাম পাচ্ছিনা। কারণ সার কীটনাশক ও মজুরির দাম অনেক বেশি। এছাড়াও টাকা দিয়ে আমরা সার পাচ্ছিনা।
এসব সবজির মান ভালো হওয়ায় পাইকারি দরে কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতবার এমন সময় এক থেকে দুইটা করে সবজির গাড়ি লোড হতো। আর এবার আগাম সবজির চাষ ও ফলন বেশি হওয়ায় দৈনিক ৪-৫টা করে সবজির গাড়ি লোড করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন। এতে যেমন লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, সবজি চাষে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগাম সবজি চাষকরে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন বলে আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। আশা করি আবহাওয়া ভালো থাকলে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
আরও পড়ুন : ঢাকায় আসছেন সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য,চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টের জমি। এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ হেক্টর ।
সান নিউজ/এসআই