নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাদীপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার (২৭ জুলাই) বিকালে বাঁধের ৪৫ মিটার অংশ ধসে গেছে। এর আগে ওই স্থানে গত শনিবার ৮০ মিটার জায়গা ধসে পানি ঢুকে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ভাঙনের ওই অংশের উজানের দিকে পানি চুইয়ে ভেতরে ঢুকতে থাকে সকাল থেকেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙনে ঠেকাতে বালির বস্তা ফেলা হলেও বিকেল চারটার দিকে হঠাৎ করেই ফাটল ধরে তা বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে বাঁধের ৪৫ মিটার অংশ ধসে পড়ে। এতে ওই এলাকায় নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, পানির যে চাপ তাতে এই মুহূর্তে বাধ মেরামত করা সম্ভব নয়। পানির চাপ কমলে কাল থেকে বাঁধটি পুনরায় মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, যারা বাঁধের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং ভাঙনের হুমকিতে যারা আছে তাদের সকলকে ফরিদপুর বায়তুল আমান এলাকার রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স শাখায় খোলা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বন্যার্তদের থাকার জন্য জেলায় ৩৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বন্যায় জেলার ৭ উপজেলার ৫৪০ টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় পরিমাপ অনুযায়ী পদ্মা নদীর পানি ফরিদপুর অঞ্চলে বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, বাঁধের মেরামত করা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশের খবর পেয়ে আমরা বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। পানির চাপ কমলে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।