হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর থেকে:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর ভাঙন আতঙ্কে গবাদি পশুসহ মালামাল নিয়ে রাস্তায় অস্থায়ী ঘর গড়ে বাস করছেন আতঙ্কিত মানুষজন। ভাঙন আতঙ্কে আগাম প্রস্তুুতি হিসাবে তারা এমনটি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগের বন্যায় গঙ্গাচড়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বেড়েছে। ফলে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ফসলসহ রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুকুর ও মৎস্য খামারের কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওইসব চরাঞ্চলে তিস্তার ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলছে। কিন্তু মাটির সংকুলান হওয়ায় কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে। ফলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে চর শংকরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়েছে। বিনবিনার পাকা রাস্তার ৩০০ ফুট ও চিলাখাল চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। হুমকিতে পড়েছে শংকরদহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা, পাইকান আকবরিয়া মাদ্রাসা, সাউদপাড়া মাদ্রাসা, মসজিদ, পোস্ট অফিসসহ কয়েকটি গ্রাম ও ফসলি জমি।
এছাড়া লক্ষ্মীটারীর শংকরদহ আশ্রয়ণ গ্রামের বাড়িসহ পাঁচ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আর ৭০টির মতো বাড়ি গ্রামটিতে রয়েছে। কোলকোন্দের বিনবিনা ও চিলাখালের ১৫টি বাড়ি বিলীন হয়েছে।
ভাঙন আতঙ্কে শংকরদহের বেশ কিছু পরিবার বাড়ি ছেড়ে মালামাল নিয়ে রাস্তায় বসবাস করছে। তাদের মধ্যে শরিফা বেগম ও আপেল মিয়া জানান, তিস্তা নদীর তীরে তাদের বাড়িঘর। তিস্তার বেড়িবাঁধটির আর ৩-৪ ফুট ভাঙলে পানি এসে তাদের বাড়ি তলিয়ে যাবে। যেহেতু তাদের বাড়ি তিস্তার পাশেই পানি এলে বাড়ি সরানো দূরের কথা, মালামাল সরানোরও সময় পাওয়া যাবে না। যেকোনো সময় ৩-৪ ফুট জায়গা ভেঙে যেতে পারে। এ ভয়ে বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় বসবাস করছেন তারা। ভাঙন রোধ হলে বাড়িতে ফিরবেন বলেও জানান তারা।
সান নিউজ/ এআর