গিয়াস উদ্দিন, নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ২০ বছর আগে দাফন করা একটি লাশ অক্ষত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। লাশ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ছবি।
আরও পড়ুন: অর্থ লুটপাটকারীদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকেলের দিকে উপজেলার ৬ নং কাবিলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাবিলপুর গ্রামের সুফি সাহেব হুজুর মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কাবিলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাবিলপুর গ্রামের সুফি সাহেব হুজুর মাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজের কাজ চলছিল। ওই সময় ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খুঁড়ার সময় লাশের একটি অংশ বেরিয়ে আসে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি এক নজর দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমায়।
আরও পড়ুন: একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮২০
কাবিলপুর গ্রামের লোকমান মিয়া (৭৫) জানান, লাশটি কাবিলপুর গ্রামের বিশিষ্ঠ ইসলামী চিন্তবিদ সুফি সাহেব হুজুরের বাড়ির সুফি সাহেবের ভাতিজা সফি উল্লাহর। তিনি চট্টগ্রামের আমিন জুটমিলে চাকুরী করতেন। ৬৫ বছর বয়সে ২০০২ সালে তিনি মারা যান। তিনি ছিলেন ৫ ওয়াক্ত নামাজী ব্যাক্তি ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ইকবাল হোসেন জানান, লাশটি স্থানান্তর নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। সফি উল্লার ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা চাচ্ছেন লাশটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে একই কবরস্থানে পূর্ণ কবরস্থ করার জন্য। কিন্তু সুফি সাহেবের নাতীরা অন্যত্র কবরের জায়গা নেই বলে একই স্থানে কবর দেওয়া জন্য অটল থাকলে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ৬২ এসপিকে বদলি
সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিকাশ সাহা বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসীর সিন্ধান্ত মোতাবেক লাশ আগের কবর থেকে উত্তোলন করে অন্যত্র স্থানে দাফন করা হবে। লাশ পূর্ণ কবরস্থ করার জন্য নতুন কবর খোঁড়ার কাজও চলছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর জানান, ২০ বছর আগে দাফন করা একটি লাশ অক্ষত অবস্থায় এলাকাবাসী দেখতে পেয়েছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর