সান নিউজ ডেস্ক: বগুড়ায় মাইক্রোচালক নুরুল হককে হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছের আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট নাসিমুল করিম হলি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন। নিহত নুরুল ইসলাম সুনামগঞ্জের আমবাড়ি বাজার এলাকার শওকত আলীর ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাস চালক ছিলেন। আর দণ্ডিতরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার মো. শাহিন ও শাহিনুর রহমান, একই জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নজরুল ইসলাম নজু ও রোকেয়া বেগম, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইলিয়াস হোসেন ও মো. শাহাজুদ্দিন, বরিশালের বাকেরগঞ্জের রাসেল মিয়া, নরসিংদীর আমির হামজা ও পটুয়াখালীর বাউফলের জালাল গাজী।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জালাল গাজী, রোকেয়া বেগম ও শাহিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, রাসেল ও আমির হামজা কুড়িগ্রামের অপর এক মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
আরও পড়ুন: ডিভোর্সের পথে শোয়েব ও মির্জা!
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট নাসিমুল করিম হলি জানান, ২০১৫ সালের ২ জুলাই সকালে বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুরের একটি আম বাগানের পুকুর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনেই শেরপুর থানার তৎকালীন এসআই সেরাজুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে নিহতের নাম পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। এর আগে নুরুল হক সবশেষ ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে মাইক্রো নিয়ে বের হন। সেই সূত্র ধরে পুলিশ প্রথমে কুড়িগ্রাম থেকে শাহীন, রাসেল ও নজরুলকে গ্রেফতার করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার ও জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে। জবানবন্দিতে তারা জানায়, মাইক্রো ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা চালককে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালে এসআই সেরাজুল ইসলাম এ মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেন। আদালত স্বাক্ষ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। দণ্ডিতদের পরে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আমজাদ হোসেন নামে আরও এক আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে এখনও পুলিশ খুঁজে পায়নি। তিনি গ্রেফতার হওয়ার দিন থেকে সাজার মেয়াদ শুরু হবে।
সান নিউজ/কেএমএল