সান নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে দশ বছরের শিশুকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত জানান। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের হাতিমারা গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও আমির হামজা।
কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান জানান, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯০০ কোটি ডলার পাচ্ছে পাকিস্তান
মামলার বরাতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ শিশুটির বড় বোনকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢোকে আসামিরা। এ সময় বড় বোনকে না পেয়ে ছোট বোন শিমু আক্তারকে (১০) ধর্ষণ করে তাকে বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ময়নাতদন্তে শিশুটির মরদেহে ১৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনার দিন নিহত শিশুর বাবা পাশের জমিতে ওষুধ দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আর মা ছিলেন মৌলভীবাজার জেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানাবে বললে আসামিরা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে শিমুকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে। এ মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শিশুটির মা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা চাই দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক। মেয়েটাকে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে।
আরও পড়ুন: কিশোরী প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আদালতে গণমাধ্যমকে শিমুর বাবা সাইদুল হক বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মেয়ের খুনিদের বিচার পেয়েছি। এখন রায় কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।
সান নিউজ/কেএমএল