কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা গাড়ির মাঠে বিজ্ঞ আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে খতিয়ানভুক্ত জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় চালানো হয় সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : ভালুকায় অগ্নিকাণ্ডে ৫৩টি কক্ষ পুড়ে ছাই
সোমবার (০৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে, দীর্ঘদিন ধরে ঝাউতলা গাড়ির মাঠ এলাকার আনোয়ারা বেগমের মালিকানাধীন খতিয়ানভুক্ত জমি দখলের পায়তারা করছে আহমেদ হোসেন গুরা মিয়ার নেতৃত্বে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি জমি দখলে একাধিকবার আনোয়ারা বেগমের পরিবারের উপর একাধিক বার হামলা চেষ্টা করেছে।
সর্বশেষ একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে সোমবার আহমেদ হোসেন গুরা মিয়ার নেতৃত্বে শুভ, শান্ত, সুজন ও ফরিদসহ আরও ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী আনোয়ারা বেগমের পরিবারের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন : নারায়ণগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫
এসময় আনোয়ারা বেগমের পুত্র ওমর ফারুক, জামাল, সাইফুলসহ ৫ জন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
হামলাকারীরা আনোয়ারা বেগমের মালিকানাধীন জমির ঘেরাবেড়া ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়। এতে তাদের বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়া হয়।
আহত আনোয়ারা বেগমের পুত্র ওমর ফারুক বলেন, আমরা উন্নয়ন বিরোধী নই। কিন্তু আমাদের কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি, উল্টো বেআইনিভাবে কোন ম্যাজিস্ট্রেট—প্রশাসন ছাড়া বিনা নোটিশে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়ে আমার দোকানপাট ভাংচুর করে লুট করে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি পৌরসভা রাস্তার জমি নেওয়ার পরও আমার অবশিষ্ট জমিও গুরা মিয়া ও ফরিদের নেতৃত্বে জবর দখল করার পাঁয়তারা করছে।
আরও পড়ুন : বাবা-মাকে মারধর, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ
খতিয়ানভুক্ত জমিতে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কোন আইনে আছে। আদালতে মামলা, ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার পরও দখলবাজ চক্র কিছু না মেনে ন্যাক্কারজনকভাবে জোরপূর্বক আমাদের জমি দখলে নিয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আহমদ হোসেন গুরা মিয়া।
সান নিউজ/এইচএন