নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: শ্রমিক আন্দোলন থামানোর নামে ৬৬ কোটি টাকা, সিবিএ’র জন্য তিন কোটি টাকা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বাবদ ২২ কোটি ৬৭ লাখ টাকাসহ মোট ৯০ কোটি টাকা খরচের যে হিসাব বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজেএমসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তা মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে বিজেএমসি’র ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পাটকল শ্রমিকরা।
সোমবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খুলনার খালিশপুর বিআইডিসি রোডে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল রক্ষা সিবিএ নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন নেতারা।
নেতারা বলেন, মিলগুলোর লোকসানের কারণ হচ্ছে, বিজিএমসির দুর্নীতি ও অব্যস্থাপনা। এই দুর্নীতি খুঁজে বের করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
নেতারা বলেন, অন্যান্য বকেয়া সহ ঈদ-্উল আযহার বোনাস পরিশোধ এবং দ্রুত পিপিপি’র মাধ্যমে পাটকল পুনরায় চালু করতে হবে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল রক্ষা সিবিএ নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক শাহানাজ শারমীনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন যুগ্ম আহবায়ক মো. হেমায়েত উদ্দিন আজাদী। অংশ নেন সোহরাব হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
রোববার (২৬ জুলাই) বেলা ১২টায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জুটমিলের শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ, গ্রাচ্যুইটিসহ চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে মিলমালিকের প্রতিনিধিকে শ্রমিকদের ঈদ-উল আজহার আগে ছয় হাজার করে টাকা ও আগামী একমাসের মধ্যে চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ব্যর্থতায় মিল এলাকায় কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তার দায়ভার মিলমালিককে বহন করতে হবে বলেও জানানো হয়।
সান নিউজ/ এআর