সান নিউজ ডেস্ক: সিলেটে ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আফম কামালকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
আরও পড়ুন: বহুরূপী মনির ৬ বছরের কারাদণ্ড
এদিকে, সিলেটে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল নিহতের প্রতিবাদে বিএনপি-ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল চলাকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আ ফ ম কামাল সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া সিলেট ল’ কলেজের সাবেক জিএস ছিলেন। তার বাসা নগরের সুবিদবাজার এলাকায়।
আরও পড়ুন: মহিলা দলের নেত্রী দুই দিনের রিমান্ডে
বিএনপি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কামাল বড়বাজার এলাকায় ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছয়-সাতটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁর গাড়ির পথ রোধ করে। পরে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় কামালকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপি ও ছাত্রদলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী, সদস্যসচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় নারীসহ নিহত ২
সিলেট জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, মিছিলটি নগরীর চৌহাট্টা অভিমুখে যাত্রাপথে কয়েক জায়গায় গাড়ির টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ মিছিল রিকাবীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় রিকাবীবাজার এলাকার কিছু দোকানের শাটার ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।
পরে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত দুই সপ্তাহ আগে বড়বাজারের পার্শ্ববর্তী চৌকিদেখী এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মীর সঙ্গে বিএনপি নেতা কামালসহ কয়েকজনের কথা–কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাই তাঁকে খুন করে থাকতে পারেন। দ্রুত ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিএনপি নেতারা।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর শীর্ষে জাপান
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল জাকির বলেন, প্রাইভেটকার আটকে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা কামালকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। নিহতদের লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।
আরও পড়ুন: কিশোরী প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত এখনো জানা যায়নি। তবে আমরা তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার বিভিন্ন আলামত ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি।
সান নিউজ/কেএমএল