মো. মনির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর নির্যাতনে দুই ছেলে মেয়েকে মানুষ করতে বিদেশে পারি জমিয়েও স্বামীর নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা ফাহিমা ও তার পরিবার।
জানা যায়, ফাহিমা এর সঙ্গে গত ২৪/০৯/২০১৫ ইং তারিখ মুসলিম শরাহ শরীয়ত মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিবাহ হয় মাসুদের। বিয়ের পর ফাহিমার গর্ভে ১টি শিশু পুত্র ফাহিম (৯ বছর) এবং ১টি শিশু কন্যা ইমা (৩ বছর) এর জন্ম হয়। কিন্তু উক্ত শিশু দুইটি অত্যন্ত দুর্ভাগা। তাহারা বাপের আদর পায় নাই।
ছোট মেয়েটি তাহা বাবাকে চিনেও না, মাসুদ মিয়া ফাহিমার অনুমতি ছাড়াই ২য় বিয়ে করেন, বিয়ের পর থেকে ফাহিমার উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। শারীরিক নির্যাতন করে ফাহিমা কে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়,পরে ২টি শিশুকে তার মার জিম্মায় রাখিয়া সৌদী আরবে মেডিকেল ভিসায় চাকুরী করিতে যায় ফাহিমা।
সৌদি আরব থেকে পাঠানো টাকায় শিশু ২টিকে পরম যত্নে লালন পালন করেন তার মা। ১নং আসামী মাসুদ মিয়া শিশু ২টির কোন প্রকার ভরন পোষন দেয় না। মোবাইলে ফোনে ফাহিমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও তার পরিবারের উপর হামলার হুমকি দেয়। ফাহিমা এখন মানসিক নির্যাতনের স্বীকার।
মাসুদ মিয়ার সংসারে এখন একটি নববধূ আছে। এই অবস্থায় মাসুদ মিয়া গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে তার বাচ্চা উদ্ধার করার নামে ফাহিমা ও তার ৩ ভাইকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
ঐ মামলার ব্যাপারে আইনী পরামর্শ করে বাড়ি ফেরার পথে ফাহিমার পরিবারের উপর গত ২৭/৭/২২ ইং তারিখ বেলা ২টার দিকে ময়মনসিংহ কোর্ট সংলগ্ন, জিরো পয়েন্টে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করিতে থাকা কালে অত্র মোকদ্দমার আসামী ১নং আসামী মাসুদ মিয়া ( ৩৩)পিতা- শামছুল হক ২, আমিনা (৩৮) স্বামী- জাহাঙ্গীর ৩ রবিউল (২২) পিতা জাহাঙ্গীর ৪, জুয়েল মিয়া (৪৫)পিতা- জামাল উদ্দিন ৫, রুহুল আমিন পিতা মৃত-তোফাজ্জল ৬, আঃ রহিম (৩৫)পিতা মৃত- রহিমের বাপ সর্বসাং- কিসমত বন গ্রাম থানা- নান্দাইল ময়মনসিংহ।
১ নং আসামী মাসুদের নেতৃত্বে সকল আসামীরা ফাহিমার পরিবারের উপর খুন জখম করিবার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করিতে উদ্যত হয়। তাদের ডাক চিৎকারে মানিত সাক্ষীগন ও অজ্ঞাত পরিচয় পথচারীগন আগাইয়া আসায় তখন তারা প্রানে রক্ষা পাই।
তবে বিবাদীরা চলিয়া যাইবার সময় হুমকি দিয়া যায় যে, আমাদেরকে পরবর্তীতে সুযোগ মত পাইলে খুন জখম করিবে। বিবাদীদের এই সন্ত্রাসী কার্যে আমাদের জান মালের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। এর বিচার চেয়ে ফাহিমার মা মোছাঃ সুফিয়া ( ৬০) বাদী হয় ময়মনসিংহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
সান নিউজ/এনকে