শফিক স্বপন, মাদারীপুর: মাদারীপুরে ৬তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মানে গভীরে মাটি খনন করায় দুটি দোকান ধসে পড়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে পাশের দুটি বহুতল ভবনও। এরই মধ্যে ঝুঁকিতে থাকা ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাবার নির্দেশ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ করায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানায় পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার।
আরও পড়ুন: খুনিদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছেন পুতিন!
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে মাদারীপুর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের শকুনী মৌজায় ৬তলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে গ্রীস প্রবাসী এনায়েত হোসেনের স্ত্রী মাখরুণ নাহার। আন্ডারগ্রাউন্ডের জন্য মাটি খনন করলে প্রথমে স্থানীয়রা বাধা দিলেও কর্ণপাত করা হয়নি। একপর্যায়ে গভীরে মাটি খনন করলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করেই ধস নামে নির্মাণাধীন ভবনের পূর্বপাশের দুটি দোকানে।
প্রকট শব্দে কেঁপে ওঠে মাদারীপুর শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের এলাকা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরে মালামাল সরিয়ে নেন দোকানীরা। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ পাশের দুটি বহুতল ভবন ঝুঁকিতে থাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাবার নির্দেশ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। নিয়ম না মেনেই ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড করায় এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ছাত্রদল নেতাসহ নিহত ২
ক্ষতিগ্রস্থ হোটেল দোকানদার খোকন তালুকদার বলেন, আমার দোকানে থাকা কর্মচারীর মাথার উপর ইট এসে পড়ে। পরে বুঝতে পারি দোকানে ধস নেমেছে। অতিরিক্ত মাটি খননেই এই অবস্থা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুন চৌধুরী বলেন, নিয়ম না মেনেই ভবন নির্মাণ কাজ করায় এই অবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের চেয়ে এক কদম আগে হাঁটি
এদিকে, নতুন ভবন নির্মাণ করা মালিক মাখরুণ নাহার বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই ভবন ও আন্ডারগ্রাউন্ড নির্মাণ করছি। তবু যতটুকু ক্ষতি হয়েছে আমি ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিবো। প্রয়োজনে সবকিছু আগের মতো ঠিক করে দিবো।
মাদারীপুর পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুজ্জামান রাসেল জানান, ৬তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আন্ডারগ্রাউন্ডের অনুমতি না দেয়া হলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি খনন করায় ভয়াবহ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুস্থ হয়ে ফের রাজপথ দখল করবো
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, আন্ডারগ্রাউন্ডের জন্য মাটি খনন করায় এরইমধ্যে বেশকয়েকটি দোকানে ধস নেমেছে। এছাড়া দুটি ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবনে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাটি খননের বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সান নিউজ/কেএমএল