শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত পরিবারগুলোর মাঝে লাশ চুরির আতঙ্ক কাটেনি। রাতে কবরের লাশ চুরি হতে পারে আশস্কা থেকে কবরের পাশে বসানো হয়েছে পলিথিনে ছাউনি দিয়ে খাট বা চকি।
আরও পড়ুন: আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসুক
রাতভর জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে বিদ্যুৎ বা হ্যারিকেনের আলো। রাত জেগে পালাক্রমে দেয়া হচ্ছে কবর পাহারা। আমাদের সমাজে একটি কুসংস্কার বিদ্যমান রয়েছে, বজ্রপাতে নিহতের শরীরের হাড় কবিরাজি চিকিৎসার কাজে (ঝার ফুকের ক্ষেত্রে) খুবই কার্যকরী। যার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকলেও হাটে বাজারে রঙ্গে ঢঙ্গে ফকির নামে কিছু লোক বিভিন্ন হাড় ব্যবহার করে। তারা এর বিভিন্ন উপকারী দিক তুলে ধরে জনগণকে আকৃষ্ট করে। এ ধরণের কবিরাজ ও ফকিররা এসব লাশ গভীর রাতে কবর থেকে চুরি করে থাকে। তাই বজ্রপাত নিহতদের লাশ চুরি ঠেকাতে কবর দেয়ার পর থেকেই পাহারা বসিয়েছে পরিবারগুলো। ইতিমধ্যেই ইদিলপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর সোনাতলা গ্রামের বজ্রপাতে নিহত আব্দুল জলিল (৬০) এর লাশ রাতে চুরির চেষ্টা করা হয়ে ছিলো এমন গল্প কাহিনি এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
আরও পড়ুন: তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
এ ঘটনার এর পর থেকেই জোরদার করা হয়েছে পাহারা। কবে শেষ হবে এ পাহারা এমন প্রশ্নের জবাবে এলাকাবাসী বলেন, বজ্রপাতে নিহতের লাশ চুরি হতে পারে এমন আশস্কা থেকেই একজন ছাড়া বাকী চার জনের দাফন কবরস্থানে না দিয়ে কবর দেয়া হয়েছে বাড়ির উঠানে। উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বিকালে বজ্রপাত নিহত হয় সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের কৃষকসহ ইট ভাটার ৪ শ্রমিক তার মধ্যে ২ জন ছিল ছাত্র।
সান নিউজ/এমআর