সান নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে বরিশালে শুরু হয়েছে বাস ও থ্রি হুইলার ধর্মঘট। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনোরকম ঘোষণা না দেয়া হলেও বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ এবং দূর পাল্লার রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলও। এতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে লঞ্চঘাটে গিয়ে বিপাকে পড়ে মানুষ।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের অবস্থা স্থিতিশীল
বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ করছে বিএনপি। গত ২৯ অক্টোবর রংপুরে সমাবেশের আগেই বরিশালে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা আসে। বরিশালে সেই সমাবেশ আগামীকাল শনিবার। এর তিন দিন আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার দেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন এক জনপদে পরিণত হয়েছে বরিশাল।
আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বাস, থ্রি-হুইলারের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে দু-তিন দিনের দুর্ভোগে পড়ল সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বান্দ রোডের নৌবন্দর (লঞ্চঘাট) ঘুরে দেখা গেল অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলো সব ঘাটে ভেড়ানো। অনেক যাত্রী পন্টুনে দাঁড়িয়ে। অপেক্ষা করছিলেন ভোলাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় প্রাণ গেল ২ জনের
দ্বীপজেলা ভোলা রুটের এমভি সুপার সনিক-৩-এর মাস্টার আলী আকবর জানান, লঞ্চের মালিক বন্ধ রাখতে বলেছেন।
বরিশালের অভ্যন্তরীণ লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য কামরুল ইসলাম পান্না বলেন, ভোলা ঘাটের ইজারাদাররা লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছেন, যে কারণে অভ্যন্তরীণ ৩২টি লঞ্চের অধিকাংশই চলছে না।
স্পিডবোট মালিক সমিতির নেতা মো. কবির সিকদার বলেন, কেন ভোলা থেকে বোট আসছে না, তা তাঁরা জানেন না।
আরও পড়ুন: সৌদিতে হামলার খবরটি ভুয়া
অভ্যন্তরীণ লঞ্চ মালিক সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, তেল কেনার পয়সা নাই। যাত্রী ওঠে না। লঞ্চের অবস্থা এমনিতেই খারাপ। কীভাবে লঞ্চ চালাব বলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধের কোনো ঘোষণা তাঁরা দেননি বলেও জানান তিনি।
তবে লঞ্চসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গতকাল ঢাকা-বরিশাল রুটে রাতে দুটি করে লঞ্চ যাতায়াত করেছে। কিন্তু আজ ও কাল পুরো বন্ধ থাকবে। এটি ওপরের নির্দেশে মালিক সমিতির অলিখিত ধর্মঘট।
আরও পড়ুন: শুক্রবার কখন কোথায় লোডশেডিং
এদিকে, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের কারণেই বন্ধ করা হয়েছে লঞ্চ- এমনটাই বলছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, কোনও কিছুতেই বরিশালের গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। প্রয়োজনে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, ট্রলার ও নৌকায় চেপে আসবেন।
সান নিউজ/এনকে