গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় হত্যা মামলা মীমাংসার চেষ্টায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাক্ষী।
আরও পড়ুন : কক্সবাজারে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ হুরাভায়াখা গ্রামের শাহাজ উদ্দিনের পুত্র ধলু মিয়ার সাথে একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর পুত্র সবুজ এর জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসার এক পর্যায়ে গত ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে পূর্ব বাছহাটি গ্রামের গাবের তল এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সবুজ ও তার লোকজন ধলু মিয়া ও রজ্জব আলীর পথ রোধ করে এলোপাতারী মারপিট করেন।
এসময় তাদের চিৎকারে ধলু মিয়া চাচা আব্দুর রশিদ, স্ত্রী জমিলা বেগম, মাতা ধলি বেগম ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও বেধর মারপিট করে তারা। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ধলু মিয়া, আব্দুর রশিদ ও শাহাজ উদ্দিনকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন : ঘর-জমি দখল, ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে মুক্তি
ধলু মিয়া ও আব্দুর রশিদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই দিন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুর রশিদ মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছোট ভাই এমদাদুল হক সরকার রাজা বাদী হয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসের ৫ তারিখে সবুজ, সুজন মিয়া, এনামুল হক, আলমগীর হোসেনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় ১৪৩/১৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/১১৪/৩৪/৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার জিআর নং-৩১৭/১৫। তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৬ সালের জুলাই মাসের ৩১ তারিখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও পড়ুন : কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সচেতনতায় ইসলামী ব্যাংক ও আইপিডিআই
মামলাটি গাইবান্ধার যুগ্ম জজ আদালত বিচারাধীন রয়েছে। মামলার এজাহার ভূক্ত এনামুল ও আলমগীর হোসেন ছন্দ নাম ধারণ করে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে বলে বিশস্ত সূত্রে জানা যায়।
অন্যান্য অভিযুক্তগণ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মামলাটি মিমাংসার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন : শহীদ মিনারে যুবদলের মঞ্চ
ধলু মিয়া বলেন বাদী এমদাদুল হক সরকার রাজা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলাটি মিমাংসা করেছে। মিমাংসার বিরোধিতা করায় আমাকে ও আমার স্ত্রী জমিলাসহ সাক্ষীদের আদালতে সাক্ষী দিতে দিচ্ছে না।
মামলার বিবাদী ও বাদী এক হয়ে সাক্ষী না দেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। সাক্ষী দিলে আমাকে হত্যাসহ আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করবে। এমতাবস্থায় আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সান নিউজ/এইচএন