মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা-বিমানবন্দর সড়কে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সেই সাথে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় গাড়ি চলাচল করছে এক লেন দিয়ে। এতে ওই সড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার পরিণতি ভোগ করছি আমরা
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৮টা থেকে বেলা প্রায় ১১টা পর্যন্ত এই সড়কে যান চলাচল খুব ধীর গতির ছিল। এসময় সড়কের যাত্রী ছাউনিগুলোতে ছিল কর্মব্যস্ত মানুষের ভিড়। কেউ কেউ যানজটের কারণে বাসে না উঠে পায়ে হেঁটে রওনা হন গন্তব্যের উদ্দেশে। আবার কেউ বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন সময় বাঁচাতে।
আব্দুলাপুর বাস স্টপেজে আশুলিয়াগামী বাসের জন্য অপেক্ষারত এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, ‘ভার্সিটিতে সকাল ১০ টায় ক্লাস আছে, এয়ারপোর্টের জ্যামে প্রায় আধা ঘন্টা বাসে অপেক্ষা করি। পরে এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুলাপুর পর্যন্ত পায়ে হেটে আসলাম। ক্যাম্পাসে গিয়ে আর ১ম ক্লাস পাওয়ার সম্ভাবনা নাই ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো
এই সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে গত সোমবার থেকে সড়কের ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি ছিল। মূলত, বৃষ্টিতে নতুন করে খানাখন্দ তৈরি হওয়া ও পুরোনো খানাখন্দগুলো বড় আকার ধারণ করায় অনেক জায়গায় গর্তে পরিণত হয়েছে বলে তারা জানান।
উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বদরুল হাসান জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গি এলাকায় সড়কে গর্ত করে উড়াল সেতুর পিলার তোলা হয়েছে। পরে প্রকল্পের কর্মকর্তারা ইট, বালুসহ নানা উপকরণ দিয়ে সেই খানাখন্দ মেরামত করে। তবে সোমবার দিনভর বৃষ্টি থাকায় সেই গর্তগুলো থেকে নতুন খানাখন্দ তৈরি হয়েছে । মূলত সে কারণেই টঙ্গি থেকে কুড়িল পর্যন্ত যানজট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডা. জাহাঙ্গীরের চেম্বারে অভিযান
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার খিলক্ষেত-উত্তরা হয়ে গাজীপুরমুখী এই সড়ক ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
সান নিউজ/এমআর