নিজস্ব প্রতিবেদক: অসংখা ক্লুলেজ মামলার রহস্য উদঘটন করে বিচারের মুখোমুখি করা ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারে রিতীমত কারিশমা দেখাচ্ছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই অলক কুমার দে।
আরও পড়ুন: ইমরানকে চোর বললেন শেহবাজ
অলক কুমার দে গত ১২ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় সংঘটিত ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায়, ৫১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেন। এ সময় আটজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেন। যাদের মধ্যে ৬ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী করতে সক্ষম হন।
তাছাড়া গত ২১ অক্টোবর অন্য একটি অপহরণ মামলায় ম্যাজিক্যাল সাফল্য দেখিয়েছেন। মামলার হওয়ার মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যে দুই বছরের শিশু তানজিয়াকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় অলক কুমার দে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন।
তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মোবাইল উদ্ধার করছেন। সব মিলিয়ে একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তার কাছে আসা প্রতিটি মামলা ও জিডির ব্যাপারে তিনি ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে কাজ করে চলেছেন।
অত্যন্ত সদালপী ও পরোপকারী পুলিশ অফিসার হিসেবে আস্থার, সর্বোচ্চ পরিচয় দেয়ার জন্য তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এসব ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ঢাকা জেলার সুপার আসাদুজ্জামান মিয়া, পিপিএম (বার) বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেন। এ ব্যাপারে সাব ইন্সপেক্টর অলক কুমার দে এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান, চাকরি জীবনের শুরু থেকে তিনি তার কাছে আসা প্রতিটি ভিকটিম ও তাদের স্বজনদেরকে নিজের পরিবারের লোক মনে করে সর্বোচ্চ পেশাদার ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার কাজের ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সাফল্যের পিছনে কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবীর বিপিএম ও থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ পিপিএম এর সহযোগিতার কথা স্বীকার করে বলেন এ সাফল্য টিম ওয়ার্ক কাজ করে হয়েছে। বিশেষ করে চাঞ্চল্যকর মামলা, ক্লুলেজ মামলায় সফলতার ক্ষেত্রে সার্কেল এএসপি শাহাবুদ্দিন কবীরের অনন্য ভূমিকা রয়েছে বলে জানান।
সান নিউজ/এসআই