বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়নকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অফিস সহায়কসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ৪জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৩ চোর গ্রেফতার
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় উক্ত মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার বগুলাডাঙ্গী এলাকার আব্দুর সালামের ছেলে পরিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম (২৭), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর এলাকার মৃত জুমারত আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৬), সদর উপজেলার দক্ষিন বঠিনা হাজিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও ফাঁড়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এটিএম কবির ইকবাল (৪৪), পৌর-শহরের ইসলামনগর রোড এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ জিবরিল (৩৫), পরীক্ষার্থী হাউজে কাউছার, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক (ডে সিফট) সালেহা খাতুন, সহকারী শিক্ষক তাপস দেবনাথ ও অফিস সহায়ক দীপ্তি রায়।
আরও পড়ুন: ভোটারের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সমাজ সেবা অধিদপ্তর এ সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চলাকালীন ১৩০নং কক্ষে পরিক্ষার্থী শফিকুল ইসলামকে নকল সরবরাহ করেন পিয়ন জহুরুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্য পরিক্ষার্থীরা চেঁচামেচি করলে দ্রুত হলরুমে ছুটে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে দায়িত্ব থাকা এটিএম কবির ইকবাল নকলটি ছিড়ে বারান্দায় ফেলে দেন।
পরে জহুরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় পলাতক শিক্ষক তাপস দেবনাথ নকলের চিরকুটটি আমাকে দেয়। অন্যদিকে একই কেন্দ্রের ২০৭ নং কক্ষেও হট্রোগোল চলে। পরে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষার্থী হাউজে কাউছার নকল সরবাহের লক্ষ্যে পলাতক আসামি শিক্ষক সাহেলা খাতুন অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরে কাউছারকে পেলে নকলটি দীপ্তি রায়ের মাধ্যমে ৪-৫ নং আসামির কাছে পৌঁছানো হয়। ৫নং আসামি নকলের মাধ্যমে পরীক্ষায় দেয়ায় কক্ষের মধ্যে গন্ডগোল সৃষ্টি হয়। এ সময় উপস্থিত পুলিশের সহায়তায় ১-৪ নং আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আরব লীগ সম্মেলনে যাচ্ছেন না সালমান
এ বিষয়ে মামলার বাদী পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাজসেবা ইউনিয়নকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে ওই স্কুলের শিক্ষক ও পিয়ন পরীক্ষার্থীদের নকল সরবাহ করেন। দুইজন পরীক্ষার্থীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর নকল সরবাহকারীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে আমি সদর থানায় একটি মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের (ইউনিয়ন কর্মী) নিয়োগ পরীক্ষায় নকল সরবাহের অভিযোগে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল