নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদী: জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গৃহবন্দিত্ব দশা থেকে মুক্তি পেয়েছে দুটি অসহায় পরিবার। মাধবদী উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও কাজল মিয়ার পরিবারের বসতভিটা থেকে বাইরে যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় ছিল এ গৃহবন্দিত্বের অবস্থা। কখনো দেয়াল টপকে আবার কখনো জলার পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় ভুক্তভোগীদের। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আগামী সাতদিনের মধ্যে জমি বিক্রেতা বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে সম্মত হওয়ায় এ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছেন তারা।
প্রশাসন সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন ও কাজল মিয়া ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে জমি কিনে বসতভিটা তৈরি করে ৫/৬ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিন ফুট পরিমাপে রাস্তাসহ চৌহদ্দি নির্ধারিত রয়েছে। জমি বিক্রেতা এর মধ্যেই সংলগ্ন জমি তার মেয়ে ও অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। তারা বাড়িও নির্মাণ করেছেন। ফলে যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত জায়গাটুকুও এই ঘেরাটোপে পড়ে যায়। সকলেই বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করায় ভুক্তভোগী দুই পরিবারের সদস্যদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। নির্ধারিত তিন ফুট রাস্তা বর্তমান বাস্তবতায় জমি বিক্রেতার আঙিনার ভিতরে পড়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘ দেন-দরবার হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে কখনো দেয়াল টপকে আবার কখনো জলার পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় ভুক্তভোগীদের। অনেকটা গৃহবন্দিত্বের অবস্থা।
শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমস্যাটি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। তার নির্দেশে শুনানি শেষে বিষয়টির সমাধান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহা আলম মিয়া। সকলের মতামতের ভিত্তিতে বিকল্প রাস্তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আগামী ০৭ দিনের মধ্যে বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে সম্মত হন জমি বিক্রেতা। বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. খাদেমুল ইসলাম ফয়সালকে।
এ কাজে সার্বিক সহায়তার জন্য নরসিংদী জেলা প্রশাসন, মাধবদী উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ, নুরালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান, এলাকার গণ্যমান্য, সংবাদকর্মী , আনসার-ভিডিপি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার দুটি।
সান নিউজ/ এআর