রাকিব হাসনাত, পাবনা: পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ায় পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে। নিধনকৃত মাছের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে পুকুরে মাছ চাষ ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে এ তথ্য জানা যায়। এর আগের বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মোমরাজপুর এলাকার দিপংকর হালদারের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি সাবেক মেম্বার রঘুনাথ হালদারের সঙ্গে দপংকরের বাবা দিলিপ হালদারের সঙ্গে জমি ও পুকুরে মাছ চাষসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা ছিল। এই শত্রুতার জেরে বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে পুকুরে দিপংকরের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট ঢেলে দেয়া হয়। এতে পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে উঠে। পুকুরে পাঙ্গাস, রুই, কাতল, তেলাপিয়া, বাটাসহ বিভিন্ন জাতের ২ শতাধিক মণ মাছ ছিল। সব মাছই মারা যায়।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
দিপংকরের বাবা দিলিপ হালদার অভিযোগ করে বলেন, রঘুনাথ হালদার ওই পুকুর আগে চাষ করতো। কয়েক বছর ধরে আমরা চাষ করি। এই নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই পুকুরের একাংশ জমি আমরা কিনে নিয়েছি, আরেক অংশ ইজারা নিয়েছি। ওই পুকুরের জমি কেনা নিয়ে রঘুনাথের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। কয়েকদিন আগেই রঘুনাথ আমাদের হুমকি দেয় যে- ‘ওই পুকুরে কি করে আমরা মাছ চাষ করি’। এই কথা বলার দুইদিন পরেই এ ঘটনা ঘটল।
এ বিষয়ে দিপংকর হালদার বলেন, ‘আমি চারটা পুকুরে মাছ চাষ করি। বন্যার সময় হওয়ায় নদী সংলগ্ন তিনটি পুকুর থেকে মাছ তুলে বাড়ির কাছে এই পুকুরে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম মাছগুলো এখন বিক্রি করে ঋণ শোধ করবো। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ আছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। কোনও বিবেকবান মানুষ এই ধরনের কাজ করতে পারে না?
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূতের নিয়োগ বাতিল
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রঘুনাথ হালদার বলেন, ‘ওরা কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না। কিন্তু আমার কথা অন্যায় যে করেছে সে সাজা পাবে, আইন তার বিচার করবে। আমি এসব করি নাই। ওরা যা করতেছে তাই’ই করুক, আমার কোনও অভিযোগ নাই।’
এ বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে সকল আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সান নিউজ/এমআর