রাকিব হাসনাত, পাবনা: নির্দেশনা উপেক্ষা করে ও মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতে থাকা পাবনা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুবলিয়া মেলার পুরো অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় মেলা কমিটির কাউকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৫৪
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে পাবনা সদর সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. শওকত মেহেদী সেতুর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের এক টিম অভিযান চালিয়ে মেলার এই অংশ বন্ধ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসিল্যান্ড মো. শওকত মেহেদী সেতু বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশ পেয়ে আমি এখানে এসে মেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করেছি। হয়তো মেলা কমিটি ঠেলেঠুলে আরও কয়েক দিন চেষ্টা করতেছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসক স্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেলাটা নির্দিষ্ট মেয়াদে শেষ করতে। তারা তা না করায় আজকে আমরা শেষ বন্ধ করে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার
মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চলছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসনের এক টিম সেখানে প্রবেশ করে। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে মেলাটি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দোকানদারদের রাত ৯টার মধ্যে দোকানপাট গুটিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদাররা দোকানপাট গুটিয়ে নেয়। এ সময় মেলা কমিটির কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোপ প্রকাশ করেন দোকানদাররা। তারা বলেন, ‘আমাদের প্রথমে এক মাসের কথা বলে এখানে দোকান দিতে দেয়। এরপর তারা বলে ১৮ তারিখে শেষ হবে। দুইদিন আগে মেলা কমিটি থেকে আমাদের জানানো হয়- মেলা চলবে আরও ৪-৫ দিন। এজন্য তারা আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকাও নিয়েছে। কিন্তু আজকে ম্যাজিস্ট্রেট এসে মেলা বন্ধ করে দিল।
এর আগে অনুমোদন না থাকায় মেলা উদ্বোধনের ৫ দিন পর ১৩ অক্টোবর বিকেলে পাবনা সদর সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. শওকত মেহেদী সেতুর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের এক টিম অভিযান চালিয়ে মেলার দুবলিয়া হাজী জসিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অংশ বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে রফিকুল ইসলাম মাদানী
এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নাকোচ মেলা কমিটির সভাপতি ও চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান খান এবং মেলা কমিটির সেক্রেটারি ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইস খান।
রইস খান বলেন, ‘এব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আপনি সভাপতি সিদ্দিক খানকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমি কিছু বলতে পারবো না।’ তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমি গতকালই মাইকে বলে দিয়েছি। কিন্তু কিছু দোকানদার হয়তো রয়ে গেছে। কিন্তু আমি সবাইকে মেলা শেষ করতে বলেছি।’
সান নিউজ/কেএমএল