রাকিব হাসনাত, পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুবলিয়া মেলার অনুমোদন ১৮ অক্টোর পর্যন্ত থাকলেও মেলা এখনও চলছে। এর আগে অনুমোদন না থাকায় দুবলিয়া মেলার দুবলিয়া হাজী জসিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অংশ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে মেলা চত্বর গিয়ে দেখে যায়, মেলা চলছে। মেলার সব দোকানগুলো আগের মতোই বেচাকেনা করছি। আগেরদিন মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) মেলা কমিটি থেকে মেলার দোকানদের আগামী শনিবার পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নাখোশ মেলা কমিটির সভাপতি ও চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক খান এবং মেলা কমিটির সেক্রেটারি ও চরতারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইস খান।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২ জনের মৃত্যু
রইস খান বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আপনি সভাপতি সিদ্দিক খানকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান সিদ্দিক খান। তিনি বলেন, ‘আমি গতকালই মাইকে বলে দিয়েছি। কিন্তু কিছু দোকানদার হয়তো রয়ে গেছে। কিন্তু আমি সবাইকে মেলা শেষ করতে বলেছি।
এ বিষয়ে পাবনা সদর সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. শওকত মেহেদী সেতু বলেন, মেলা চালানোর কোন সুযোগ নেই। আমরা দ্রুতই সেখানে যাবো। মেলা চালানো হলে অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান
এর আগে অনুমোদন না থাকায় মেলা উদ্বোধনের ৫ দিন পর গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে পাবনা সদর সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. শওকত মেহেদী সেতুর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের এক টিম অভিযান চালিয়ে মেলার এই অংশ বন্ধ করে দিয়েছে।
বন্ধের পর কলেজ অংশের এই মেলা নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ এবং মেলা কমিটির সভাপতি স্থানীয় চেয়ারম্যানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এই অবৈধ মেলার জন্য চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেলা কমিটির সভাপতি সিদ্দিক খানকে দায়ী করলেও সিদ্দিক খান পাল্টা কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের দায়ী করেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের নতুন সভাপতি খাড়গে
এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন খান। মেলার অবৈধ অংশ বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুল মাঠে জায়গা না হওয়ায় পাশের কলেজ মাঠে মেলা বসিয়ে ছিলাম, কিন্তু আপনারা সাংবাদিকরা অভিযোগ দিয়েছেন ‘ইয়ে তিয়ে অমক তমক, কলেজের শিক্ষার্থীদের অমুক অসুবিধা হচ্ছে, তমুক অসুবিধা হচ্ছে’, এজন্য প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে। আপনারা জাতির বিবেক কিন্তু শত শত মানুষের কথা চিন্তু করলেন না, আপনাদের জন্য দেশে আর কিছু হবে না, মানুষের জন্য আর কিছু হবে না।’
সান নিউজ/এমআর