ফয়সল চৌধুরী, হবিগঞ্জ: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে নিজ উদ্যোগে চাকরি জাতীয়করণের আদেশ প্রদান করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে আদেশটি পরিপত্র আকারে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রতিটি জেলায় প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই জাতীয়করণের পরিপত্রটি আজ অবধি বাস্তবায়িত হয়নি। এখন চাকুরি জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ বছর আগে বিয়ে করেছেন তারা!
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১টায় হবিগঞ্জ কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের কাছে স্মারকলিপি দেয় বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়ন হবিগঞ্জ জেলা শাখা।
এরপূর্বে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংগঠনের সভাপতি শেখ মো. ইউনুছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা তাদের সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলিনি
বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃত কর্মচারী। দেশের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জীবনমান প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। অথচ গ্রামীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ ঘন্টা ৭০ প্রকারের কাজ করেও গ্রাম পুলিশ বাহিনীর ৪৬ হাজার ৮৭০ জন সদস্য শ্রম অনুযায়ী ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে দফাদার মাসিক বেতন ৭ হাজার ও মহল্লাবাদারের বেতন রয়েছে ৬ হাজার ৫শ’ টাকা। এই বেতনের অর্ধেক প্রদান করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আর বাকী অর্ধেক বেতন ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব আয় থেকে দেয়া হয়। কিন্তু নিজস্ব আয় থেকে গ্রাম পুলিশের বেতন দিতে ব্যর্থ অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ। থেকে ৫০% বেতন দেয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকারের টাকা নিয়মিত পেলেও অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ বাকী অর্ধেক বেতন দিতে ব্যর্থ বলে স্মারকলিপিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: নিজের স্বার্থের জন্য নেত্রীর বুকে ছুরিও মারতে পারে!
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে নামমাত্র বেতনে পরিবারের নিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকুরি জাতীয়করণ করে গ্রাম পুলিশের জীবনমান এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এই বিশ্বাস থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে দাবি জানানো হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল