আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে দখল হওয়া জমি উদ্ধারে রেলের চলমান অভিযানের ‘বৈধতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শেখ সাদ কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আলিম মিন্টু।
আরও পড়ুন: ৪২ দিন সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, রেল কর্তৃপক্ষ প্রকৃত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করে, অযৌক্তিক অভিযানের মাধ্যমে শেখ সাদ কমপ্লেক্সের আন্তর্জাতিক মানের দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ আলিম মিন্টি বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ আমাকে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করে গত ১২ অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ভুসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন পার্বতীপুর রেলওয়ে কাচারীর ফিল্ড কানুনগো জিয়াউল হক, রেলওয়ে কারখানা উর্দ্ধতন নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) আহসান উদ্দীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সহকারী কমান্ডার আতিয়ার রহমান ও উর্দ্ধতন উপসহকারি প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা।
আরও পড়ুন: কিছুটা সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে
এ অভিযানে বেদখলি জমি উদ্ধারের নামে বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের খুটি গেড়ে লাল নিশান লাগানোসহ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, তালা দেওয়া ও জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় তাঁরা শেখ সাদ কমপ্লেক্সে আসেন। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দখলে নিতে তালা লাগানোর পাঁয়তারা করেন। এদিকে আমার এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই মামলা করেছেন। যা বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ১৪১ শতক জমির ব্যক্তি মালিকানা ভারতবর্ষ আমল থেকে শুরু করে সর্বশেষ সৈয়দপুর বিজনেস সিন্ডিকেট নামক সংগঠনের নামে বৈধ কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হয়েই ক্রয় করেছি। তাহলে এতদিন ধরে হাতবদল হলেও কেন রেলওয়ে তখন আপত্তি তোলেনি?
আরও পড়ুন: হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্য নিহত
শেখ সাদ কমপ্লেক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন বলেন, ওই দিন তাদের এমন অহেতুক হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানালে পার্বতীপুর রেলওয়ে কাচারীর ফিল্ড কানুনগো জিয়াউল হক আমাকে এককভাবে ডেকে নিয়ে গোপনে বলেন, এই ঝামেলা থেকে বাঁচতে হলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তোমার বসকে দেখা করতে বলো। নয়তো সমস্যা হবে বলে ভয় দেখান। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে কমপ্লেক্সের গেটে তালা লাগানোর হুমকিও দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট শরিয়তউল্লাহ রায়হান, পৌর কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ, রওশন হাবিব চৌধুরী, ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির মন্ডল, হারুনুর রহমানসহ শতাধিক ভুক্তভোগী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সৈয়দপুর বিজনেস সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ।
সান নিউজ/কেএমএল