এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি: ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপদে ৪ জন সদস্য প্রার্থী পেয়েছেন শূন্য ভোট। তাদের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের ভোটটিও পায়নি তারা। এরা হলেন ৩নং রাজাপুর ওয়ার্ডের মুকুল মৃধা, ৪নং কাঠালিয়া ওয়ার্ডের এ্যাড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামীম, সংরক্ষিত নারী (রাজাপুর-কাঠালিয়া) ওয়ার্ডের জোৎসনা খানম ও সোনিয়া আক্তার। এরা সবাই সরকার দলীয় নেতা ও সমর্থক।
আরও পড়ুন: তিন এসপিকে অবসরে পাঠাল সরকার
এ নির্বাচনে রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলা থেকে সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটেছিলেন এই প্রার্থীরা।
মুকুল মৃধা রাজাপুর উপজেলা আওয়ামীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের পদে রয়েছেন। কাঠালিয়া উপজেলা আ’লীগ নেতা এ্যাড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামীম, জোৎসনা খানম সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও তার স্বামী কাজল সিকদার কাঠালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। আর সোনিয়া আক্তারের বড় বোন ইয়াসমিন রাব্বী পপি কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি পদে আছেন। পপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে মাঠে আছেন। এদের কোন ভোট না পাওয়ায় সাধারন মানুষ আশ্চর্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
ভাইয়ের ভোটটিও পায়নি সোনিয়া। প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর ভোট পায়নি সোনিয়া। এমনকি সোনিয়া আক্তারের আপন ভাই রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মিজানুর মাঝির ভোটটিও পায়নি তিনি। তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার এ নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই।
মুকুল মৃধা ১৭ অক্টোবর সোমবার ভোটের দিন দুপুর ১২ টায় দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ভোটারদের ওয়াদা মতো আমার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত।' এই নেতা ফলাফল ঘোষনার পর বলেন, 'আমি আমার দলের নেতৃবৃন্দের সড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। জেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলেছিল, কিন্তু আমি তা করিনি। এটাই ছিলো আমার অপরাধ।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৬ জনের প্রাণহানি
জোৎসনা খানমের স্বামী কাজল সিকদার বলেন, যেহেতু ভোট কেনা-বেচা হয়েছে। তাই আমরা নির্বাচিত হতে পারবোনা দেখে আগেই আমাদের ভোটারদেরকে জাহানারা হককে ভোট দিতে বলেছি। তাই আমরা কোন ভোট পাইনি।
এ্যাড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামিমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এমআর