নিজস্ব প্রতিনিধি:
মোংলা (বাগেরহাট): মোংলা বন্দরের প্রবেশমুখ হিরণ পয়েন্ট এলাকায় গ্যাসবাহী বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি সিনা-০৫ এর স্টোররুম ভেঙে শুক্রবার (২৪ জুলাই) ভোরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চিফ অফিসার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট সি’ এশিয়াথের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আকরাম হোসেনকে জানিয়েছেন। এরপর আকরাম হোসেন চুরির ঘটনাটি বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টারকে অবহিত করেন।
জাহাজটি বন্দরে গ্যাস ডেলিভারি দিতে হিরণ পয়েন্টে অপেক্ষা করছিল। পণ্য খালাসের জন্য শুক্রবার বিকেলে মোংলা বন্দরের একটি এলপিজি কারখানায় ভেড়ার কথা ছিল। ভোরে একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দল ওই জাহাজে উঠে স্টোর ভেঙে পাঁচটি মুরিংরোপসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
বন্দরের এই প্রবেশমুখে প্রায়ই এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।। গত ৭ জুন তেলবাহী জাহাজ এমটি ট্রেসা থেকে সাতটি মুরিংরোপ একইভাবে চুরি হয়। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট স্ট্রারপাত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মো. রফিকুল ইসলাম ৮ জুন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও হারবার মাস্টারকে চিঠি দিয়ে ঘটনাটি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান । তবে সে ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তা জানাতে পারেননি ক্যাপ্টেন রফিক।
এমভি সিনা-০৫ জাহাজের চুরির ঘটনায়ও বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এজেন্টের এমডি মো. আকরাম হোসেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, মোংলা বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের পণ্য ঠিক একই কায়দায় চুরি/ডাকাতি করতে শক্তিশালী চক্রের নিয়ন্ত্রণে পৌর শহরের রিজেকশন গলি ও শহরতলীর কাইনমারী-বাইদ্দাপাড়া এবং গোগ এলাকায় অন্তত ২০/২৫ জনের গ্রুপ রয়েছে। ওই গ্রুপকে শেল্টার দিতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ বন্দর ব্যবহারকারীদের।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, চুরির ঘটনাস্থল মোংলা থেকে ১৩০/১৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে ও খুলনা জেলার দাকোপ থানার অধীনে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার এম ফখরউদ্দিন বলেন, জাহাজটির ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলে মুরিংরোপ চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তারপর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/ এআর