নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাগেরহাট: কাঁচাবাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়ায় সেসব কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন বাগেরহাটের সাধারণ মানুষ।
অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় অনেক ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ায় সবজির সংকটে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বাড়তি দাম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। আর হতাশায় পড়ে গেছেন করোনা পরিস্থিতিতে আয়ের উৎস কমে যাওয়া নিম্ন-মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, ঘাটতি না থাকলেও বেশি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সঠিকভাবে বাজার তদারকির অভাবেই তারা এটি করতে পারছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের মূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে, ৪০ টাকা কেজির স্থলে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। বেগুন, বরবটি, পটল, ঢেড়স, করলা পেঁপেসহ
অন্য সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা দর হাঁকছেন বিক্রেতারা। তবে শসার মূল্য তুলনামূলক কম।
সবজি বিক্রেতা রহিম আলী বলেন, ‘বর্তমানে অনেক সবজির সিজন না হওয়ায় সেগুলোর বাড়তি দাম রয়েছে পাইকারি বাজারে। বাজারে পণ্য বেশি হলে দাম কমে, সংকট হলে বেড়ে যায়। পাইকারি বাজারের দাম অনুপাতে আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি।’
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি বাবুল সরদার মনে করেন, অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার পাশাপাশি অতিলোভী মুনাফাভোগী ফড়িয়াদের কারসাজির কারণেও সবজির মূল্য এতো বেশি বেড়েছে।
সান নিউজ/ এআর