নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর: যশোরে অনুমোদনহীন কারখানায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য, কেমিকেল ও নকল পণ্য তৈরির কয়েকটি মেশিন জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে এর মালিক মামুন-অর-রশিদকে এক বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) শহরের কিসমত নওয়াপাড়ায় জেলা প্রশাসন, র্যাব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসন যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।
দণ্ডিত মামুন-অর-রশিদ ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নিজ বাড়িতেই এই কারখানা গড়ে তোলেন।
যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কাজী আতিকুর রহমান জানান, অভিযানে কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ বোতলজাত নকল পাওয়ার হ্যান্ডওয়াস, নকল পাওয়ার ভিক্সল, নকল ভলভো পাওয়ার ব্যাটারির পানি, পাওয়ার টয়লেট ক্লিনার, প্রায় ৫২ ড্রাম সালফিউরিক ও ৪১ ড্রাম হাইড্রোক্লোরিক এসিড জব্দ করা হয়েছে।
সুর্নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ কারখানাটিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। তবে অভিযানে গিয়ে তথ্যের চেয়ে আরো বেশি অপকর্মের প্রমাণ পান কর্মকর্তারা। ড্রাম, ড্রাম সালফিউরিক ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড সেখানে মজুদ রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই খোলা আকাশের নিচে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাঁচামাল পড়ে আছে। কারখানাটিতে নিয়োগকৃত কোনো স্বীকৃত কেমিস্ট নেই। অক্ষরজ্ঞানহীন শ্রমিকরা ইচ্ছামত ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করেন এসব পণ্য। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া অভিযানে কারখানার মধ্যেও অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশ পাওয়া যায়। কারখানাটির পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। অবৈধভাবে বাড়িতে এভাবে নকল পণ্য তৈরি করে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন মামুন-অর-রশিদ।
সান নিউজ/ এআর