মোঃ আব্দুল আউয়াল মন্ডল, নাটোর: স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন মৎস্যচাষী রফিক খান ঝরু (৫০)। পুকুরে মাছের পোনা ছাড়া ও পরিচর্যা বাবদ পাঁচ লাখ টাকা খরচও করেছেন।
কিন্তু শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় তাদের পুকুরে বিষ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে এক নিমেষেই ধুলিস্মাৎ হয়ে গেছে তার স্বপ্ন। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খিদিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী রফিক খান ঝরু উপজেলা উপলশহর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। এ ঘটনায় রোববার বড়াইগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী রফিক খান ঝরু জানান, ছয় মাস আগে উপলশহর পুর্ব পাড়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আরশেদ আলীর চার বিঘা জলকরের পুকুর পাঁচ বছরের জন্য পাঁচ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে তারা মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরে টেংরা, রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন জাতের দেড় লাখ টাকার মাছের পোনা ছেড়েছেন। খাবারসহ পরিচর্যা বাবদ ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ টাকা খরচও হয়েছে তাঁদের।
রোববার সকালে তিনি পুকুরে গিয়ে মরা মাছ ভাসতে দেখেন। এ সময় পুকুরের পানিতে বিষাক্ত দ্রব্যের আলামত দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব মাছ মরে ভেসে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন পরেই মাছ বিক্রি করা যেতো। বিক্রয় করতে পারলে খরচ বাদে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা লাভ হতো। এখন লাভ তো দুরের কথা ঋণ পরিশোধ করব কি করে। আমি তো কারো ক্ষতি করি নাই, কারো সাথে কোন শত্রুতাও নেই। তাহলে কেন এমন কাজ করা হলো।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এনকে