সান নিউজ ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় আরিফুল হক (৪০) নামে এক ব্যাংকারের বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়ে গেছেন তার স্ত্রী খালেদা পারভীন (৩২)। শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জেলার চৌড়হাস ফুলতলা ল্যাবরেটরি স্কুলের গলিতে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেফতার
অভিযুক্ত খালেদা যশোর জেলার চুরামনকাঠি এলাকার কাজী হাফিজুল্লাহর মেয়ে। আর ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার কাচারি খাদিমপুর এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে। আরিফুল সোনালী ব্যাংকে চাকরির সুবিধার্থে চৌড়হাসে বাড়ি করে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
তার বড় ছেলে নাজমুস সাকিব বলেন, রাত ৮টার দিকে মা আমাকে নামাজ পড়তে পাঠান। নামাজ শেষে দোকান থেকে কিছু কিনে আনতে বলেছিলেন। ফিরে এসে বাবার চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি তিনি নিচে পড়ে যাচ্ছেন। তখন আমাকে দেখে দ্রুত অটোরিকশা ডেকে আনতে বলেন। তখন মাকে বাড়িতে দেখিনি। এরপর বাবাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।
আরও পড়ুন: অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, ঝরল ৩ প্রাণ
সাকিব আরও বলেন, এ ঘটনার আগে কোন ঝগড়াঝাঁটি হয়নি। তবে পূর্ব থেকে মা বাবাকে সন্দেহ করে আসছে, সে নিয়ে মাঝেমধ্যে বাবা মায়ের মধ্যে অশান্তি হতো।
হাসপাতালের চিকিৎসক আশরাফুল জানান, বিশেষ অঙ্গের ৮০ শতাংশ কেটে পড়ে গেছে৷ কেটে যাওয়া অংশ খুঁজে না পাওয়ায় এটি আর আগের মত স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। আরিফুল ইসলামের স্ত্রী অভিযুক্ত খালেদা পারভীনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
সান নিউজ/কেএমএল